ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে চার গ্রামের মসজিদ ও এক মাদ্রাসার নামে থাকা জমি উদ্ধারে মানববন্ধন করেছে চার গ্রামের শতাধিক মানুষ।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের পর উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের শেরমস্তপুর গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন মাঠে নজাতপুর, কান্দাগাঁও ও ফলকপুর গ্রামসহ চার গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসার ভূমি রক্ষায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাচনা বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে ইউপি সদস্য মোঃ ছমির উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শেরমস্তপুর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ সাদেক আলী, মাও আব্দুল আউয়াল, মাওঃ লুৎফর রহমান, সমাজ সেবক ফারুক মিয়া, আবুল কাশেম, সেলিম আহমদ, আয়না মিয়া, সিরাজ মিয়া প্রমুখ।
বক্তাগন বলেন, ইউনিয়নের শেরমস্তপুর, কান্দাগাঁও, ফলকপুর ও নজাতপুরসহ চার গ্রামের একটি নিজস্ব গোচারণ ভূমি রয়েছে। যা শেরমস্তপুর মৌজার ৩২ নং জেএল এর ৬৮২ ও ২৬৭ নম্বর খতিয়ানসহ একাধিক খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তে ১২ একর জায়গা রয়েছে। যার প্রকৃত মালিক শেরস্তপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়া তালুকদারের ছেলে মাসুক মিয়া, একই গ্রামের মৃত গুল হাসমত তালুকদারের ছেলে আব্দুল আলী ও মৃত ছাদ মাহমুদ তালুকদারের ছেলে ছাদেক আলী তালুকদার গং।
উক্ত জায়গার একটা বড় অংশ চার গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে দান করে দেন স্ব-স্ব মালিক। যার প্রয়োজনীয় দলিলাদি মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির কাছে সংরক্ষিত আছে।
এ জায়গা প্রায় ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে চার গ্রামের গোচারণে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাশাপাশি লামারভূঁই নামক কান্দাটি ছোট ছনুয়া হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃিত হয়ে আসছে। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, চার গ্রামের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এই কান্দাটি দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ দখলে নিতে একই ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতলিব ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, চার ছেলে আলী নূর আলম উজ্জ্বল, সজল মিয়া, আশিক নূর ও সামছুন্নুর পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। এমনকি চারগ্রামের মানুষ কান্দাটি রক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তারা তাঁদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। পাশাপাশি গত ১৭ ডিসেম্বর ওই কান্দায় নেমে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে চার গ্রামবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তারা। পরে গ্রামবাসী নিরুপায় হয়ে ২২ ডিসেম্বর তাদেরকে বিবাদী করে জামালগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মানববন্ধনে চার গ্রামের মসজিদ মাদ্রাসার জন্য নির্ধারিত গোচারণ ভূমিটি অবৈধমুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।










