ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : মসজিদ ও সংশ্লিষ্ট মুসলিম স্কুলকে ঘৃণামূলক অপরাধ থেকে সুরক্ষায় ২৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৩০.৫৭ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ড্যামিয়ান হিন্ডস এ ঘোষণা দেন।
এক বিবৃতিতে হিন্ডস জানান, ‘নিজ কমিউনিটিতে নিজের বিশ্বাস অনুশীলন করা একটি মৌলিক অধিকার। আমি উপাসনালয়গুলোকে উৎসাহিত করি যারা ঘৃণামূলক অপরাধের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে উপাসনালয়ের তহবিল প্রকল্পের মাধ্যমে তহবিলের জন্য আবেদন করতে।
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন এ তহবিল উপাসনালয়ের নিরাপত্তাব্যবস্থার খরচ নির্বাহে ব্যয় করা হবে। দুর্বল সম্প্রদায়ের ওপর ঘৃণামূলক অপরাধ কমাতে ও আমাদের পথ আরো নিরাপদ করতে তা সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ’
যুক্তরাজ্যের পুলিশের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০-২০২১ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে নথিভুক্ত ধর্মীয় ঘৃণামূলক অপরাধের ৪৫ শতাংশের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিম জনগোষ্ঠী।
এ ঘোষণার মাধ্যমে এখন থেকে উপাসনালয় সুরক্ষামূলক নিরাপত্তা তহবিল প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাজ্যের মসজিদগুলোর নিরাপত্তারক্ষীদের বিল পরিশোধে আবেদন করতে পারবে। এ পাহারা পরিষেবা শুধুমাত্র মুসলিমদের উপাসনালয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
আগ্রহী মুসলিম কমিউনিটি পাহারা পরিষেবা, শারীরিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও সিসিটিভি ও নিরাপত্তা বেষ্টনী উভয়টির জন্য আবেদন করতে পারবে। গত ১৯ মে থেকে মসজিদ সুরক্ষা তহবিলের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় যা আগামী ১৬ জুলাই মাস পর্যন্ত চলবে।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় মুসলিম-বিরোধী ঘৃণা বা ইসলামোফোবিয়া পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা পরিষেবা সংস্থা মেজারিং অ্যান্টি মুসলিম অ্যাটাক (টেল মামা)-এর পরিচালক ইমান আত্তা দেশটির সরকারের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইমান আত্তা বলেন, গার্ডিং সার্ভিসের মাধ্যমে নিরাপত্তা সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকারের এ ধরনের অতিরিক্ত সহায়তার উদ্যোগ খুবই প্রয়োজনীয় ও প্রশংসিত। ‘টেল মামা’ দীর্ঘদিন যাবত ইসলামিক প্রতিষ্ঠান ও মসজিদগুলোর অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহায়তার দাবি জানিয়ে এসেছে। জাতীয় মুসলিম-বিরোধী ঘৃণা অপরাধ পর্যবেক্ষণ ও সহায়তার পরিষেবাগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সরকারের এ ধরনের সহায়তাকে সবার স্বাগত জানানো উচিত বলে মনে করেন তিনি।
গত মাসে লন্ডনের একটি মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হামলায় দুজন মুসল্লি আহত হন। পূর্ব লন্ডনের শ্রীলঙ্কান মুসলিম সেন্টারে রমজান মাসে ইফতারের জন্য আসলে তাদের ওপর এ হামলা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তের পর পুলিশ জানায়, একদল সশস্ত্র শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় আততায়ী এ হামলা চালিয়েছিল।