ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : কেন্দ্রীয় কমিটির দেওয়া কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তিন সহ-সভাপতিসহ ১৩ নেতার সকল প্রকার পদ স্থগিত করেছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বিষয়টি জানানো হয়। শনিবার দলটির উপজেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন।
চিঠিতে বলা হয়, চলতি বছরের ৪ মার্চ কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচি হিসেবে প্রতি জেলা ও উপজেলায় প্রস্তুতি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে অন্যান্যদের সঙ্গে প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত হওয়া নেতারা ওই হামলায় অংশ নেয়। এমন অভিযোগে দলটি নবাবগঞ্জ উপজেলা কমিটির ১৩ নেতাকে প্রথমে মার্চের ১২ তারিখে ৭ দিনের এবং ২৮ তারিখে ৪ দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়। পরে ওই ১৩ নেতার চিঠির জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) তাদের প্রাথমিক সদস্য ও সকল প্রকার পদ থেকে স্থগিত করা হয়।
পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আজাদ রহমান, কামরুজ্জামান বাবু ও ইউনুস আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এজেএম শাহাবুদ্দিন সুজন, সহসাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহান চৌধুরী, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এনামুল হক ও তফিজুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম স্বাধীন, কোষাধ্যক্ষ মো. মোহররম আলী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. সাহাজুল হক সাজু, যুব বিষয়ক সম্পাদক, মনির হোসেন ও সদস্য রাজিনুর ইসলাম রাজু।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির নবাবগঞ্জ উপজেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় কমিটি ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে তাদের কাছে চিঠি পাঠান। তারা ওই চিঠির জবাব না দিলে আবারো ২৮ মার্চ ৪ দিনের সময় দিয়ে চিঠি দিলে তারা ওই চিঠির জবাব দেন। কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এ মাসের ১৩ তারিখে তাদেরকে সকল পদ থেকে স্থাগিতাদেশ প্রদান করেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পদ হারানো সাবেক সাধারণ সম্পাদক এজেএম শাহাবুদ্দিন সুজন বলেন, আমরা এখনো হাতে চিঠি পাইনি। তবে জেনেছি। এটা আমাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে যা সংগঠন বহির্ভুত। আমরা হাতে চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বখতিয়ার আহমেদ কচি মুঠোফোনে জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৩ নেতার পদ স্থগিত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে জেনেছি, তবে হাতে কোনো চিঠি এখনো পাইনি।