ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সরকারের ‘বর্বর শাসনের’ বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে ধিক্কার উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবে না। অচিরেই তাদের পতন হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলাধীন কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলার অভিযোগ করে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, গত ১২ বছরে সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করতে তারা বিভিন্ন কায়দায় দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে যখন আওয়ামী সরকারের ‘বর্বর শাসনের’ বিরুদ্ধে ধিক্কার উঠছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা- তখন বর্তমান সরকার দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আদিম হিংস্রতা শুরু করেছে। জনপদে জনপদে বর্তমান সরকার ভয়াবহ অত্যাচার ও নিপীড়ণের মাধ্যমে এক ভয়ংকর দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন সভাপতির বাসায় সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে উপস্থিত হলে ছাত্রলীগের সশস্ত্ররা সেখানে আকস্মিক হামলা করে। এতে বিএনপি নেতার পরিবারের অনেক সদস্যসহ দলীয় বেশকিছু নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বিকাল সাড়ে ৪টায় জিঞ্জিরাস্থ দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য নিপুণ রায় চৌধুরী নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন।
সাংবাদিক সম্মেলন শেষে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় আবারও অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, পুলিশি হামলায় বিএনপি নেতা মোজাদ্দেদ আলী বাবু, যুবদল নেতা মাসুদ আলম স্বাধীন, বিএনপি নেতা হাজী ঈশা খাঁন, দূর্জয় দে কৃষ্ণ, শাহ নেওয়াজ, মো. মাহফুজ, আসলাম রাশিদা বেগম, নার্গিস বেগম, যুবদল নেতা আশরাফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সোহেল রানাসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত হয়। নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা ও তাদেরকে আহত করার ঘটনা নিঃসন্দেহে কাপুরুষোচিত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এ ধরণের হামলায় আবারও প্রমাণিত হলো-বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কতটা নির্মম, অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী। বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের ক্যাডার এবং পুলিশের হামলা বর্তমান সরকারের নিরবচ্ছিন্ন দুঃশাসনেরই ধারাবাহিকতা। তবে অতীতে যেমন কোনো স্বৈরাচারই দমন-পীড়ন চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেনি, বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও গায়ের জোরে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবে না। অচিরেই তাদের পতন হবে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
