ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : গণতন্ত্র রক্ষায় ত্যাগ স্বীকার করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ডেমোক্রেসি হিরো ও মাদার অব ডেমোক্রেসি হিসেবে ভূষিত করেছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল। আজ গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ফখরুল। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকার তাদের সকল ‘অবৈধ ও বেআইনি কর্মকাণ্ড’ বিশ্ববাসীর কাছে আড়াল করতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ‘অবৈধভাবে ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে’ বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।
লিখিত বক্তব্যে দলের মহাসচিব বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেসম্যান গ্রেগোরি মিকসের বক্তব্যকে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকৃতভাবে উপস্থাপন দেশের কূটনৈতিক ক্যাডার সার্ভিসকে দলীয়করণের সর্বশেষ নিকৃষ্ট উদাহরণ বলে সভা মনে করে।’
‘বিএনপি এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং বিদেশে কর্মরত দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কর্তব্য পালনের আহ্বান জানায়’ বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
স্থায়ী কমিটির সভায় ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম সোয়াবিন তেলসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে সার্চ কমিটি ও তাদের দ্বারা গঠিত কমিটি দিয়ে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।
সার্চ কমিটির সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি মনে করে সার্চ কমিটি তাদের কমিশন গঠন এর প্রক্রিয়া অর্থহীন ও অগ্রহণযোগ্য। সার্চ কমিটির প্রধান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।’
সূত্র:আমাদেরসময়