ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : করোনা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পার্টি করে সমালোচনার মুখে পড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চাপের মুখে রয়েছেন। নিজ দলের মধ্য থেকে তার পদত্যাগের যে দাবি উঠেছে, ক্রমশ তা আরও জোরালো হচ্ছে।
বার্তসংস্থা সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বরিসের সমালোচনাতো বিরোধীদের পক্ষ থেকে রয়েছেই; সেইসঙ্গে নিজ দলের ভেতরের কয়েকজন আইনপ্রণেতাও তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
তিনি ও তার দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইন মানার বিষয় নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ দেখাচ্ছেন তারা।
মহামারিকালে বরিস জনসনের দুটি পার্টি নিয়ে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের কেবিনেট অফিসের কর্মকর্তা সুই গ্রে একটি তদন্ত করেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষদিকে তিনি এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
কয়েকদিন আগে থেকেই কোভিডের কারণে লকডাউন চলাকালে ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক পার্টি আয়োজনের জেরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবি উঠছিল।
গত বুধবার তার নিজ দলের কয়েক আইনপ্রণেতা ইস্যুটি নিয়ে জনসনের বিরোধিতা করেন এবং ক্ষোভ দেখান।
ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বরিস জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টি ২০১৯ সালে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জয় পায়। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভালো পারফমেন্সই দেখাচ্ছিলেন বরিস।
কিন্তু করোনার লকডাউনের সময় পার্টি করায় বড় ধরনের বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। তার পদত্যাগ দাবি করেন আইনপ্রণেতারা। ক্রমশ এ দাবি জোরালো হচ্ছে।
বরিস জনসন তার সরকারি বাড়ি ও ডাউনিং স্ট্রিটে দুটি পার্টি করেছিলেন। এ ঘটনায় তিনি ইতোমধ্যে ক্ষমা চাইলেও তার ওপর থেকে চাপ সরছে না।
জনসনের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৩৬০ জন কনজারভেটিভ দলের এমপিদের মধ্যে ৫৪ জনকে দলটির ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে অনাস্থা জানিয়ে চিঠি লিখতে হবে।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন রক্ষণশীল (বরিসের দল) আইনপ্রণেতা জনসনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন।
দ্য টাইমস সংবাদমাধ্যমের এক যাচাইয়ে দেখা গেছে, রক্ষণশীল দলে (বরিসের নিজ দল) অন্তত ৫৮ জন আইনপ্রণেতা বরিস জনসনের লকডাউন পার্টির সমালোচনা করেছেন।
তবে বরিস জনসন বলছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।