
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, যতোদিন পর্যন্ত এই সরকারকে সরাতে পাড়ছি না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারছি না এবং তারেক জিয়াকে দেশ ফিরিয়ে আনতে না পারছি ততোদিন পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। আমাদের আন্দোলন চলবেই।
বৃহস্পতিবার বিকালে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ঠাকুরগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বলেন, ১৯৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম থেকে শিশু সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের হাতে গ্রেপ্তার হন। অথচ সে সময় অনেকে পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো, অনেকে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলো।
তিনি বলেন, খালোদা জিয়ার মুক্তিযোদ্ধার নাম করণের প্রস্তাবে অনেক মুক্তিযোদ্ধা বেজার হয়েছেন।
ফখরুল আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান ফ্যাসিস্ট দানবীয় সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। এ কারণে বর্তমান তাকে মিথ্যা মামলায় আটক করে এখন তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই নেত্রীর মুক্তির জন্য আমরা প্রায় একমাস ধরে সংগ্রাম করছি। তার মুক্তির জন্য যে হাজার হাজার মানুষ মুক্তি চাইছে এটাও একটা আন্দোলন। এই আন্দোলন সারাদেশে চলছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম একটি দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম মানুষকে মুক্ত করার জন্য। আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পাবো, একটি গণতান্ত্রিক সমাজ পাবো এই উদ্দেশ্যে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।