
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : ফ্রান্সে ১৯৫০-এর দশক থেকে রোমান ক্যাথলিক চার্চে যৌ’ন নি’র্যা’তনের ঘটনা ত’দন্তে গঠিত কমিশনের প্রধান বলেছেন, সে সময় হাজার হাজার শি’শু নি’র্যা’তনকারী তৎপর ছিল। জঁ-মা’র্ক সোভ ফরাসি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, দুই হাজার নয়শ’ থেকে তিন হাজার দুইশ’ শি’শু নি’র্যা’তনকারী পাদ্রী ও অন্যান্য যাজকের বি’রুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তারা। তিনি বলছেন, ‘এটি হচ্ছে ন্যূনতম অনুমান।’
মোট এক লাখ ১৫ হাজার জন পাদ্রী এবং গির্জার অন্যান্য কর্মক’র্তার ব্যাপারে ত’দন্ত চালানো হয়। রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে চার্চ, আ’দালত ও পু’লিশের দলিলপত্রের আর্কাইভে পাওয়া তথ্য এবং যৌ’ন নি’র্যা’তনের শিকারদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে। আগামী মঙ্গলবার এই ত’দন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে। রিপোর্টটি হবে আড়াই হাজার পৃষ্ঠার।
যৌ’ন নি’র্যা’তনের একজন ভুক্তভোগী বলেছেন, এর ফল হবে বো’মা ফাটার মতো।
বিভিন্ন দেশে কয়েকটি কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁ’স হওয়ার পর ফরাসি ক্যাথলিক গির্জা কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে ওই ত’দন্তের আদেশ দেয়।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ডাক্তার, ইতিহাসবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও ধ’র্মতত্ত্ববিদরা। আড়াই বছরের মধ্যে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
রোমান ক্যাথলিক প্রকাশনা দ্য ট্যাবলেটের ক্রিস্টোফার ল্যাম্ব বলেছেন, এই যৌ’ন কেলেঙ্কারি ক্যাথলিক চার্চকে গত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটে ফেলে দিয়েছিল।
এর ধারাবাহিকতায় পোপ ফ্রান্স এ বছরই ক্যাথলিক চার্চের নিয়মকানুনে সংশোধনী আনেন, যাতে যৌ’ন নি’পীড়ন, শি’শুদের ওপর যৌ’ন নি’র্যা’তন, শি’শু প’র্নোগ্রাফি এবং এসব ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টাকে স্পষ্টভাবে অ’প’রাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।
ফরাসি ত’দন্ত কমিশনের প্রধান জঁ-মা’র্ক সোভ বলেছেন, তার প্যানেল এমন ২২টি ঘটনার তথ্যপ্রমাণ কৌঁসুলিদের হাতে তুলে দিয়েছে, যেগুলোর ব্যাপারে এখনও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। সূত্র: বিবিসি।