
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : জাস্টিজ সেক্রেটারি ডমিনিক রাব বলেছেন,” আমাদের চিন্তাকে প্রসারিত করতে হবে। আম’রা এসাইলাম প্রার্থীদের পজেটিভ ভাবে দেখতে পারি। এদেরকে ডিটেনশন সেন্টার বন্ধি না রেখে কাজের সুযোগ দিলে এক দিকে তাদের কর্ম সংস্থান হবে অন্য দিকে ব্রিটেনে শ্রমিক সংকট নিরসন হবে,”।
বিভিন্ন দেশ থেকে পালিয়ে আসা এই সকল এ্যাসাইলাম প্রার্থীদের কাজের সুযোগ দেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৭০,০০০ এ্যাসাইলম প্রাথী রয়েছে ব্রিটেনে। এর মধ্য শতকরা ৭৩% এ্যাসাইলাম প্রার্থীর আবেদন বা কেস হোম অফিসের ডিসিশনের মধ্যে আছে। অনেকেই বছরের পর বছর হোম অফিসের সিদ্ধান্তের অ’পেক্ষায় আছেন।হোম অফিসের তালিকায় ৭০ হাজার এ্যাসাইলাম থাকলেও এর সংখ্যা আরো বেশী হতে পারে। এই এ্যাসাইলাম প্রার্থীদের আইনের মাধ্যমেই কাজের সুযোগের সৃস্টি করতে হবে।
হোম অফিস ডমিনিক রাব এর প্রস্তাবকে কমনসেন্স ব্যাপার বলে উল্লেখ করে বলেন,”আত্বঘাতি কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না। বিচারধীন কাউকে কাজের সুযোগ দিলে সেটা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হবে। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে,”।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দ্য স্পেকটেটরকে দেওয়া তার এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও অনুসারীরা যারা বর্তমান নীতিমালায় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। যু’ক্তরাজ্যের বেশীরভাগ আশ্রয়প্রার্থীর মা’মলা চলমান অবস্থায় কাজের অনুমোতি দেওয়া হয় না, আর হোম অফিসের ধীরগতির কারণে কাজের অধিকার পাচ্ছেন না বহু লোক।
স্পেকটেটরের ওই সাক্ষাৎকারে একজন শরণার্থীর সন্তান হিসেবে মি. রাবকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি অ্যাসাইলাম ক্লেইম পেন্ডিং থাকা লোকদের কাজের অনুমতি দেবেন কিনা। তিনি উত্তরে বলেন, এই ব্যাপারে সবসময়ই আমা’র মন খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য, ইহুদি বাবার সঙ্গে শি’শুকালে চেকোস্লো’ভাকিয়া থেকে পালিয়ে এসেছিলেন বর্তমান ব্রিটিশ জাস্টিস সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, আমাদেরকে এই বিতর্কটি ঘুরিয়ে দিতে হবে। গত ২০-৩০ বছরে অ’ভিবাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে- তা আমা’র বাবা এখানে আসার সময় সম্ভবত ছিল না। তখন ভাষা শিখলেই কাজ করা যেত, যা তাদেরকে আরও ভালো’ভাবে ইতিবাচক অবদান রাখতে এবং সংহত করতে পেরেছে।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, নিয়োগক’র্তাদের উচিত কারাব’ন্দিদের জন্য আরও বেশি পেইড কাজের ব্যবস্থা করা। আম’রা ব’ন্দি এবং অ’প’রাধীদের স্বেচ্ছাসেবা এবং বিনা বেতনে কাজ করাই। কর্মী সংকটের এই সময়ে আম’রা কেন তাদেরকে বেতনভুক্ত কাজে নিচ্ছি না?
যু’ক্তরাজ্যের নিয়মে, আশ্রয়প্রার্থীরা কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন শুধুমাত্র যদি তাদের দাবি প্রাথমিক সিদ্ধান্তের জন্য এক বছরেরও বেশি সময় নেয় বা বিলম্ব হয়। এরপর তাদেরকে কাজের অধিকার দেওয়া হলেও তারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পেশায় কাজ করতে পারেন, যা শ্রমিকের অভাব দূর করতে পারছে না। এদিকে হোম অফিসে ২০১৮ সালের অ্যাসাইলাম কেস এখনও পেন্ডিং এমন অ’ভিযোগ অনেক আসছে।