
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডে জ্বালানির দাম বেড়েছে। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত গ্যাস এবং বিদ্যুত বিলের পূর্ব নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা পয়লা অক্টোবর, শুক্রবার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে ব্রিটেনের ২০ মিলিয়ন পরিবারের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন পরিবারকেই গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল বাবদ বেশী অর্থ ব্যয় করতে হবে। প্রতিটি বাসা-বাড়িতে বছরে গড়ে ১৩৭ পাউন্ড বেশী বিল গুনতে হবে। স্ট্যান্ডার্ড ভ্যারিয়েবল ট্যারিফ এবং প্রিপেইড মিটার- উভয় ক্ষেত্রেই বিল বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বব্যাপী গ্যাসের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জ্বালানির এই মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পরিণতি বেশী মাত্রায় ভোগ করবে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো। ইংল্যান্ডে জ্বালানি-দারিদ্র্যের দিক থেকে সবচেয়ে বেশী আ’ক্রান্ত এলাকা পূর্ব লন্ডনের বারকিং এন্ড ডেগেনহাম কাউন্সিল এলাকা। দারিদ্র্যের কারণে এখানকার প্রতি ৫টি ঘরের মধ্যে একটি ঘরের বাসিন্দা নিজেদের বাসস্থান পর্যাপ্ত উষ্ণ রাখতে অক্ষম।
পয়লা অক্টোবর থেকে বাসা-বাড়িতে আলো জালানো এবং ঘর উষ্ণ রাখতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বাড়তি বিল গুনতে হবে। জ্বালানির সর্বোচ্চ বিল এই মুহূর্তে বেঁধে দেয়া থাকলেও বছরে দুই বার জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিল বৃদ্ধি করতে পারে। জ্বালানির পাইকারি মূল্যের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রতিটি ঘরে গড়ে ১২ শতাংশ বিল বৃদ্ধি পাবে। স্ট্যান্ডার্ড ভ্যারিয়েবল ট্যারিফে বছরে বিল বৃদ্ধি পাবে গড়ে ১৩৯ পাউন্ড। আর প্রিপেইড মিটারে বছরে গড়ে বিল বৃদ্ধি পাবে ১৫৩ পাউন্ড।
লন্ডনের বারকিং এন্ড ডেগেনহাম কাউন্সিলের নাম এখন বেশী আলোচিত হচ্ছে, যেখানে আরও বেশী সংখ্যক মানুষ জ্বালানি দারিদ্রে ভুগবে।
অনেকের জন্য ম’রার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি। কেননা, একদিকে ফারলো স্কিম এবং অন্যদিকে ইউনিভা’র্সের ক্রেডিটের বাড়তি সহায়তা এ মাসে বন্ধও হয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য জ্বালানির দাম বাড়লেও দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেও জ্বালানি খাতে ব্যয় কিছুটা আম’রা নিজেরাই কমাতে পারি। যেমনঃ হিটিং কমিয়ে রাখা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী লাইট ব্যবহার করা, কাপড় এবং থালা-বাসন ঘন ঘন ধৌত না করা, এমনকি প্লাগ অফ রাখার মাধ্যমেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায়।
শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অনেক পরিবারের মধ্যেই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, শীতের লম্বা এই সময়টা তাদের কেমন যাবে।