ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : দিনদিন বাংলাদেশ থেকে অনেক দুরের দেশ ইতালীতে জনপ্রিয় হচ্ছে বাংলা খাবার। কিন্তু এই দূরত্ব দুই দেশের খাদ্যসংস্কৃতি আদান-প্রদানে বাধা হয়ে দাড়ায়নি। আমাদের দেশের শহুরে তরুণদের কাছে পিৎজার ঘ্রাণ যেমন চেনা, তেমনি রোমবাসীও চিনে গেছে কাচ্চি বিরিয়ানির সুঘ্রাণ। বাংলা খাবারকে জনপ্রিয় করার এ কৃতিত্ব ইতালিতে থাকা বাংলাদেশিদের।
১৯৮০ সাল থেকেই ইতালিতে প্রবাসীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাঁদের হাত ধরেই ইতালিয়ানদের প্রিয় হয়ে উঠেছে মালাই চপ, চিংড়ি মালাইকারি, টিকিয়া কাবাব ও বাংলাদেশি মসলা। খাদ্যবিশারদ ফ্রান্সেসকো অ্যাগোস্টি জানান, ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের খাবারের কোনো মিলই নেই। একেবারেই বিপরীত। বাংলাদেশের খাবারে ঝাল ঝাল মেডিটেরিয়ান স্বাদ ও ভা’রতীয় মসলার ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, ইতালিতে খাবারে খুব হালকাভাবে মসলা ব্যবহার করা হয়।
ইতালির ল্যাজিও অঞ্চলে বাংলাদেশিরা কিছু রেস্তোরা খুলেছেন। শেফ আহমেদ মিয়ারও রেস্তোরা আছে সেখানে। ২০০৫ সালে তিনি সেখানে বাঙালি বিস্ত্রো নামে রেস্তোরা খোলেন। এখন তার নাতিরাও রেস্তোরা ব্যবসায় নেমেছেন। আহমেদ মিয়ার রেস্তোরায় প্রবাসীদের জন্য আছে বিশেষ সুবিধা। কমিউনিটি লাঞ্চ প্রকল্পের আওতায় মহামা’রিতে চাকরি হা’রানো প্রবাসীরা তার রেস্তোরার খাবার ডেলিভা’রি দেওয়ার কাজ করেন। ‘প্রয়োজনী’ স্টোর নামে তার একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরও আছে। ২০০৯ সালে চালু হওয়া এই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে দেশি মসলা ও পিঠা পাওয়া যায়। আরেক রেস্তোরাঁ ‘বাঙলার স্বাদ’-এ মেলে কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট, বিফ কষা।
‘দ্য ওয়েস্ট স্পাইসেস’ গ্যালারিতে শুধু মসলাই পাওয়া যায়। এসব মসলা আনা হয় বিদেশ থেকে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক অর্ণব দাশ, ২০১৪ সালে রেস্তোরা ব্যবসার পাশাপাশি পাইকারিভাবে মসলাও বিক্রি শুরু করেন। এসব মসলার মধ্যে থাকে মৌরি, পাঁচফোড়ন, সরিষা, মেথি।
‘রেস্তোরান্তে ইউরো বাংলা’র মালিক জানান, তার রেস্তোরায় বসে হাত দিয়ে খাওয়া যায়। এতে প্রবাসীরা দূরে বসেও দেশীয় পরিবেশ পান। যারা পর্যট’ক হিসেবে এখানে আসেন, তারাও এখানে বাঙালি ঐতিহ্যের ছোয়া পান।