ইউকে মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

অপরাধী ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ফেরত চায় লন্ডন

অপরাধী ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ফেরত চায় লন্ডন

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :  যু’ক্তরাজ্যে অ’প’রাধ করে বাংলাদেশে চলে আসা ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে দেশটির সরকার। আবার বাংলাদেশের কোর্টে শা’স্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি যারা যু’ক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, তাদের ফেরত পেতে চায় ঢাকাও। এ জন্য মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্স নিয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশ।

সম্প্রতি লন্ডনে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যু’ক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিছু মানুষ আছে যারা হয়তো বাংলাদেশের বি’রুদ্ধে অ’পপ্রচার বা অ’প’রাধমূলক কর্মকা’ণ্ডে জড়িত। আমাদের এখানে বিচার ও শা’স্তির মুখোমুখি হয়েছে এমন কিছু লোকও আছে।’

সচিব বলেন, আবার ওদের কিছু নাগরিক যারা বাংলাদেশি-ব্রিটিশ, তারা সেখানে হয়তো কোনও অ’প’রাধ করে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। এ রকম দুই জায়গাতেই আছে এবং এদের বিষয়ে যু’ক্তরাজ্যের রিকুয়েস্টও আছে।

চৌধুরী মাইনুদ্দিন নামে একজন যু’ক্তরাজ্যে অবস্থান করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এদের যদি আম’রা ফেরত আনতে চাই এবং যু’ক্তরাজ্য যদি তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে চায়, তাহলে এটি এমনি এমনি করা যাবে না। মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্স কাঠামো থাকলে এটি করা সম্ভব।’

মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্সের অধীনে এটি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে এবং তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এরকমই জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।

সিকিউরিটি ডায়লগ

দুদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার জন্য এ বছরের শেষদিকে একটি সিকিউরিটি ডায়ালগ হতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশের ফোর্সেস গোল ২০৩০ ভিশন আছে এবং সেখানে বলাই আছে নতুন নতুন উৎস খুঁজে বের করা। বিভিন্নমুখী উৎসের অংশ হিসেবে আম’রা ইতোমধ্যে যু’ক্তরাজ্য থেকে সি-১৩০ প্লেন সংগ্রহ করেছি এবং আরও আনা হচ্ছে।

আরও অনেক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টি যদি একটি কাঠামোর মধ্যে হয় তাহলে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে এবং নিয়মিত হবে।’

দুদেশের গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে এবং সেটিকে আম’রা আরও বৃদ্ধি করতে পারি বলে তিনি জানান।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যু’ক্তরাজ্যের লক্ষ্য আছে সন্ত্রাসবাদ থামানো বা কমানো। আমাদেরও একই লক্ষ্য, বিশেষ করে হলি আর্টিজানের পর আম’রা অনেক বেশি সতর্ক।

সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রতা দমনের জন্য দুপক্ষের সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে এবং এক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদান বা রিয়েল টাইম ইন্টেলিজেন্স সহযোগিতা হতে পারে বলে তিনি জানান।

S.

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ