ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : দেশের বাইরে আবারও কূটনৈতিক মিশনের জন্য লজ্জায় পড়ল বাংলাদেশ! এবার ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশ সহকারী হাইকিমশন প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ সমপরিমাণ টাকা ট্যাক্স না দিয়ে খেলাপি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া কিংবা পলাতক ঘোষণা করতে হয়।
২৮ আগস্ট ম্যানচেস্টারের স্থানীয় সংবাদপত্র ওল্ডহ্যাম টাইমস জানায়, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ম্যানচেস্টারস্থ সহকারী হাইকমিশনের
টেমসসাইড কাউন্সিলে ২০১৬ সাল থেকে কাউন্সিল বিজনেস ট্যাক্স বকেয়া পড়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬ পাউন্ড যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার। এ বকেয়া আদায় করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় কাউন্সিল এ টাকা অনাদায়ী হিসেবে মওকুফ করে দিয়েছে। কিন্তু এ অনাদায়ী অর্থ মওকুফের নিয়ম হচ্ছে, অনাদায়ী প্রতিষ্ঠানটির পর্যাপ্ত টাকা নেই এ ম’র্মে দেউলিয়া ঘোষণা করতে হয়। ওল্ডহ্যাম টাইমস আরও বলছে, সহকারী হাইকমিশন ম্যানচেস্টারের ড্রলসডেন এজলেনে অবস্থিত। এখান থেকে পাসপোর্ট, ভিসা, ট্রাভেল ডকুমেন্টসসহ নানা কনস্যুলার সার্ভিস দেওয়া হয়।
টেমসসাইড কাউন্সিল বলছে, এ বকেয়াকারীরা পলাতক। এ বকেয়া টাকা কখনই আদায় করা যাবে না। ওল্ডহ্যাম টাইমসকে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার বা অন্য কোনো কর্মক’র্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন ছাড়া আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের মোট ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ পাউন্ড অনাদায়ী বকেয়া মওকুফ করা হয়েছে। তবে কাউন্সিল নেতা ব্রেন্ডা ওয়ারিংটন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের এ কেলেঙ্কারি নিয়ে বলেন, ‘মোট অনাদায়ী অর্থের মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার পাউন্ড আম’রা জানি কাদের, এরা কারা, কোথায় থাকে। তাহলে কেন আম’রা এ টাকা উ’দ্ধার করতে পারছি না?’ তিনি হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘এরা আইনের সুযোগ নিয়ে বকেয়া উ’দ্ধারের ক্ষেত্রে আমাদের হাত বেঁধে ফেলেছে। সবাই আইন ব্যবহার করে দেউলিয়া ঘোষণা করছে, পালিয়ে যাচ্ছে!’