
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : চলতি মাসের ১২ আগস্ট থেকে যুক্তরাজ্যে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। যা ৫০০ পাউন্ড বাড়িয়ে ২২৮৫ পাউন্ড পাউন্ড করা হয়েছে (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লক্ষ ৭৩)। আগে যা ছিল ১৭৫০ পাউন্ড। হঠাৎ করে অর্থের পরিমাণ বাড়ানোয় বাংলাদেশসহ লাল তালিকায় থাকা দেশগুলোর যুক্তরাজ্য গমনেচ্ছুকরা বিপাকে পড়েছেন।
এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীসহ যারা যুক্তরাজ্য আসতে চাচ্ছেন তারা টাকার পরিমাণ কমানো ও হোম কোয়ারেন্টিন দাবি করেছেন।
যুক্তরাজ্য সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লাল তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে হলে বাধ্যতামূলক এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বাংলাদেশসহ ৫৯টি দেশ বর্তমানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের লাল তালিকায়।
চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষদিকে যুক্তরাজ্য সরকার জানায়, লাল তালিকাভূক্ত দেশগুলো থেকে প্রবেশ করতে হলে হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। হোটেল কোয়ারেন্টিন বাবদ অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে ১৭৫০পাউন্ট। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়। আগস্ট মাসে দেশটির সরকার লাল তালিকায় পরিবর্তন আনে। পরিবর্তন আনে টাকার পরিমাণেও। ৫০০ পাউন্ড বাড়িয়ে হোটেল কোয়ারেন্টাইন অর্থ নির্ধারণ করা হয় ২২৮৫ পাউন্ড। যা গত ১২ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।
হঠাৎ করে অর্থের পরিমাণ বাড়ানোয় বাংলাদেশসহ লাল তালিকায় থাকা দেশগুলোর যুক্তরাজ্য গমনেচ্ছুকরা বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীসহ যারা যুক্তরাজ্য আসতে চাচ্ছেন তারা টাকার পরিমাণ কমানো ও হোম কোয়ারেন্টিন দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘চলতি বছরের ৭ মে থেকে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের রেড লিস্টভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আছে। বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী এই সময়টায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে যাওয়া শুরু করে দিয়েছে। যেহেতু সেশন/ক্লাস শুরু সেপ্টেম্বর/অক্টোবরের দিকে। একটি জিনিস উল্লেখ না করলেই না, যখন যুক্তরাজ্য আমাদের রেড লিস্টভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে তখন আমাদের পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন ছিল না। আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশে এখন পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন আছে এবং আসছে। সেই সাথে শিক্ষার্থীরাও পাচ্ছেও। আমাদের অনেকেই ভ্যাক্সিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে। একজন ছাত্র/ছাত্রী দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর যদি কোয়ারেন্টাইন থাকতে হয়, তাহলে সেখানে হোম কোয়ারেন্টিন দেয়া হোক।’
এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন- ‘একজন স্টুডেন্ট এর পক্ষে ২২৮৫ পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার মত খরচ দিয়ে হোটেল কোয়ারেন্টিন করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।’