করোনাভাইরাস সংক্রমিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ১২ দিনের মধ্যে আবার সিটি স্ক্যানসহ কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে বের হন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় কয়েকজন চিকিৎসক ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন হাজির হন।
এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার বাসায় যান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। রাত পৌনে ২টার দিকে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বের হন তারা।
বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, ম্যাডামকে (খালেদা) রাতে সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে। হাসপাতালে এ ব্যাপারে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার পরেই তিনি গুলশানের বাসায় ফিরে আসবেন।
তিনি বলেন, ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করা হলেও খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ আসে, তবে তার দেহে ভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই।
১৫ এপ্রিল খালেদাকে সিটি স্ক্যানের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে তার ফুসফুসে কিছু সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
খালেদা জিয়ার বাড়ির আট জন সদস্য ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় ১০ এপ্রিল তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছিলেন এবং তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
