ইউকে সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের দাবি ১৫ বিশিষ্টজনের

করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের দাবি ১৫ বিশিষ্টজনের

করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের দাবি ১৫ বিশিষ্টজনেরইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারসহ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি শ্র্রমিক, কৃষক শ্রেণির স্বার্থে ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করার পাশাপাশি জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় দল মত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলেছেন।বুধবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করতে হবে। ভাসমান নির্মাণ শ্রমিকসহ স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য রেশনিং ও বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা নিতে হবে। ভবিষ্যৎ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিদাতা অন্যরা হলেন, ডা. সারওয়ার আলী, খুশী কবির, ড. ফওজিয়া মোসলেম, রোকেয়া কবির, এম.এম আকাশ, ড. আজিজুর রহমান, রোবায়েত ফেরদৌস, আব্দুর রাজ্জাক, ড. সেলু বাসিত, অ্যাড. পারভেজ হাশেম, এ কে আজাদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও চলছে লকডাউন। জীবন বাঁচানোর প্রবল ইচ্ছা থাকার পরও পেটের ক্ষুধায় ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে মানুষের। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রী নানা বিষয়ে প্রণোদনার কথা ঘোষণা করে সময়োপযোগী সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি। ভবিষ্যৎ জাতীয় অগ্রযাত্রা, উন্নয়ন ও ধারাবাহিকতা অুক্ষুণ্ন রাখতে এই উদ্যোগকে সফল করতে হবে। সে বিবেচনা থেকে আমরা আশুকরণীয় হিসেবে দেশের সকল মানুষদের জীবন পরিবার ও সকল শ্রমজীবী মানুষদের পাশে দৃঢ়তার সাথে দাঁড়ানোর জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ভাসমান মানুষসহ নির্মাণ শ্রমিকদের তালিকা প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে সহযোগিতার ঘোষণায় আমরা আশাবাদী হয়ে বলতে চাই নির্মাণ সেক্টরেই দেশব্যাপী ৪০ লক্ষাধিক শ্রমিক রয়েছে। তাহলে এই তালিকা কী করে করা হবে- তা এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এর বাইরেও বিভিন্ন সেক্টরে ভাসমান শ্রমিক, নিম্নআয়ের মানুষ, ক্ষুদ্র কৃষক, কৃষি শ্রমিক কয়েক কোটি রয়েছে, তাদের বিষয়েও সুস্পষ্ট নীতিমালা জরুরি বলে আমরা মনে করি।

আমরা মনে করি ইতোমধ্যে সরকারের ব্যবস্থাপনায় তৃণমূল পর্যায়ে ত্রাণকার্য পরিচালনা ও শহর পর্যায়ে ১০ টাকায় চাল বিক্রির ঘোষণা স্বস্তির হলেও এটি যথেষ্ট নয়। তারওপর এই সকল কাজে নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতির খবর খুবই হতাশা ও দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ