ইউকে শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
হেডলাইন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ রেহানাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করুন, অবস্থা ভালো মনে হচ্ছেনা…

◽️রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী◽️

কি হচ্ছে বাংলাদেশে? কি হবে? করনা সামাল দিতে পারবে বাংলাদেশ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আস্থা রাখতে পারছেন না কারো উপরই।চাউল চোর গম চুর, ইট চুর বালি চুর পাথর চুর, ক্যসিনো চুর, বিদ্যুত চুর, নারী চুর, গাড়ী চুর বাড়ী চুর, জমি চুর, রাস্তা চুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চুর, মন্ত্রী চুর এমপি চুর, চেয়ারম্যান চুর মেম্বার চুর, ডাক্তার চুর, কবিরাজ চুর, শিক্ষক চুর, ভাই চুর বোন চুর ছেলেচুর মেয়ে চুর, মোল্লা চুর, আস্তিক চুর নাস্তীক চুর, সাংবাদিক চুর, মিডিয়া চুর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সব দিকে শুধু চুর আর চুর। এত চুরআর বাটপারের মাঝখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বসবাস। বার্নিং বেডে যেমন কেউ শুইতে পারেনা। তেমনি এত চুর মহা চুর নিয়েপ্রধানমন্ত্রী দেশ চালাতে পারেননা। কাউকেই তিনি বিশ্বাস করতে পারছেননা। তার আশেপাশে যারা প্রতিনিয়ত ঘুর ঘুর করে তারা হচ্ছেধান্ধাবাজ। এসব ধান্ধা বাজদের উদ্দেশ্য একটিই সেটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে লুটপাট করা। এবং তারা তাই করছে।আওয়ামীলীগে একটাও ভালো মানুষ নেই। যে ভালো মানুষটি ছিল, তিনি চলে গেছেন সব ধরা ছোয়ার বাইরে। তিনি মরে গিয়ে বেচেগেছেন। তিনি যদি আজোও বেচে থাকতেন তাহলে কষ্ট পেতেন। তিনি মরেছেন কষ্ট পেয়ে। কি দরকার ছিল ঘড়ি কাদের স্যারকেসেক্রেটারী জেনারেল করার? কি দরকার ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রী থেকে সৈয়দ আশরাফ সাহেবকে সরানোর? জানি বিভিন্ন দেশকে খুশীকরতে হয়। অন্যদিকে খুশী করতে পারতেন। আপনার ঘরের মানুষকে অন্য পদ দিয় খুশী করতে পারতেন। পারেননি। সব দিকে শুধুষড়যন্ত্র। আপনার প্রবীন নেতা তোফায়েল আহমদ স্যারসহ সবগুলোই হচ্ছে শয়তানের হাড্ডি। বদের হাড্ডি। করনা শেষ হলে বৃটেনেরন্যায় হাউস অব লর্ডস একটি সৃষ্টি করা যায় কিনা ভাবতে পারেন। সেখানে বুড্ডাদেরকে রেখে দিবেন। তাহলে ষড়যন্ত্র করবেনা। অল্ডব্লাডার, অল্ড বোনসদের ক্লাব করে দেন। বৃটেনের মত সেখানে গিয়ে ঝিমুবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি জানিনা আপনি আমার লেখাগুলো পানকিনা? পাওয়ার তো কথা। রেহানা আপাকে অনেকে অনেক কিছুইবলেন। অনেকে বলেন তিনি নাকি দুর্নীতিবাজ? তিনি টেন পার্সেন্ট? নাতিনি ইলেভেন পার্সেন্ট? লন্ডনে বসে কত কিছু শুনি। আমারবিশ্বাস হয়না। মাঝখানে শুনেছিলাম আপনারা বোনে বোনে নাকি বেশ ঝগড়া শুরু হয়েছে নেতৃত্ব নিয়ে। রেহানা আপাকে আমি যতটুকচিনি বা জানি তিনি ক্ষমতার লোভী নন। ২০১৭ সালের কোনো এক মাস। স্থান লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে আমি লন্ডন থেকে সিলেট যাবো। বিমানে উঠে আমি আমার হ্যন্ড ব্যগ রাখছি দেখি রেহানা আপা। সালাম দিলাম, সাথে ছেলে ববি। ববিকে দেখেই তার বিয়ের অনুষ্টানের কথা মনে পড়েছিল। স্মৃতি যদি আমার সাথে প্রতারনা না করে তাহলে ববিরইসলামিক বিয়েটি হয়েছিল সেন্ট্রাল লন্ডনের রিজেন্স পার্ক মসজিদে। আমি তখন চ্যানেল আই ইউররোপের চিফ এক্সিকিউটিভ।লন্ডনের একটি হোটেলে বসে প্লান হয়েছিল সেটি অন্য প্রসংঙ্গ, আরেকদিন লিখবো। সে যাক রেহানা আপার সিট আমার সিটপাশাপাশি কুশলাদি বিনিময় হলো। ববিকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম দেখি কি করেন রেহানা আপা।প্রধানমন্ত্রীর বোন। আমার দৃষ্টি রেহানা আপার দিকে। ক্ষমতার কিছুটা দাপট তো দেখাবেন তিনি। না বিমান আকাশে উঠার পরসাধারন যাত্রীদেরকে যা পরিবেশন করলো রেহানা আপাকেও তাই দেয়া হলো। আমার তো মনে মনে ধান্ধা যে দেখি স্পেশিয়েল কিছুবিমান বালারা দেয় কিনা? আমার উদ্দেশ্যে ছিল দিলেই নোট করবো। লন্ডনে বেক করেই টিভিতে টক শো আর পত্রিকায় লিখবো। নাকিছুই করেননি তিনি বরং আমার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললেন এবং এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। আমিও খাওয়া দাওয়া করেঘুম। এক ঘুমে সিলেট। সিলেটে আসার পর আমার ধারণা ছিল তিনি বিমান থেকে নামবেন এবং ভিআইপি লাউঞ্জে এসে হাত মুখ ধুয়েনাস্তা করবেন, এবং সিলেটের আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন। কিন্তু নামার কোনো লক্ষন না দেখে আমি নিজ থেকেইজিজ্ঞাস করলাম আপনি নামবেননা? বললেন না নেমে কোনো লাভ নেই। বিমানে বসে থাকি। আমি বিদায় নিয়ে সিলেটে নেমেপড়লাম। দেখলাম এয়ারপোর্টের দুএকজন কর্মকর্তা যাচ্ছেন বিমানের দিকে। একজন আমাকে জিজ্ঞাস করলেন আপনি কি অুমখ? বললাম জি। আপনার লোকজন সহ কাউকেই আমরা ভিতরে ঢুকতে দেইনি। সবাইকে এয়ারপোর্টের বাইরে রেখে দিয়েছি। জিজ্ঞাসকরেছিলাম কেন? বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এখানে নামবেন নাস্তা করবেন। বলেছিলামতাই নাকি? কর্মকর্তা বলেছিলেন জি। আমি বলেছিলাম তিনি নামবেননা। কর্মকর্তা জিজ্ঞাস করলেন কেন? বললাম জানিনা। আমারপাশের সিটে ছিলেন তিনি, আমি জিজ্ঞাস করেছি তিনি বলেছেন তিনি নামবেননা। কর্মকর্তা আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন মনেহলো আমি মিথ্যা বলছি। আমি চলে আসলাম। এয়ারপোর্টের বাইরে এসে যাদেরকে পেলাম তারা বললেন রেহানা আপা আসায়আমাদের কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। আমি বলেছিলাম রেহানা আপা তো নামেননি। তারা অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলেন কেন? বলেছিলাম হয়তোবা রেহানা আপা ভাবছেন তিনি যদি নামেন আর আমি যদি টক শোতে বলি অথবা লিখে ফেলি তাহলে তো মানসম্মান যাবে। একজন আমাকে বললেন আপনি কি লিখে ফেলতেন? বলেছিলাম অবশ্যই লিখতাম। ক্ষমতার অপব্যবহার করলেলিখবোনা কেন? যিনি কথা বলেছিলেন তিনিও সাংবাদিক ছিলেন। বলেছিলেন ভাই আমরা লিখতে পারবোনা। বলেছিলাম আপনারালিখলে আওয়ামীলীগাররা খবর করে ফেলবে। বলেছিলেন ঠিকই ধরেছেন।

অনেকেই আমার লেখালেখি দেখে বলেন ভাগ্যিস তোমি লন্ডনে বসে এসব লিখছো দেশে গেলে অথবা দেশে বসবাস করে এসব লিখলেলাশ ফেলে দিতো, অথবা বিনা বালিশে আজীমপুর কবরাস্থানে শুয়াইয়া ফেলতো।

সে যাক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি রেহানা আপার পক্ষে কোনো সুপারিশ করছিনা। আপনি ব্যপারটি গভীরভাবে উপলদ্ধি করার চেষ্টাকরবেন প্লিজ। বৃটেনে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি হচ্ছে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি যখনইনটেনসিভ কেয়ারে চলে গেলেন তখনই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারন বরিস জনসনের কোনো উপপ্রধানমন্ত্রী নেই। যেহেতু উপপ্রধানমন্ত্রীনেই সেহেতু রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত এখন কে দিবে? কোবরা মিটিং কে সভাপতিত্ব করবে? এই মূহুর্তে যদি বৃটেনকে বিদেশী কোনো শক্তিআক্রমন করে বসে তাহলে পাল্টা আক্রমনের অর্ডার কে দিবে? বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় ব্যপার স্যপার রয়েছে যে সব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হয়।খোদা না করুক আগামীকাল যদি আপনি কোনো কঠিন রোগে আক্রন্ত হয়ে বরিস জনসনের মত ইনটেনসিভ কেয়ারে চলে যান তাহলেকে সামলাবে সরকার? কে সামাল দিবে আওয়ামীলীগ? অনেকদিন ধরে শুনে আসছি আপনার পর আপনার মেয়ে অথবা আপনারছেলে আসবে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে। আমি আপনাকে পরিস্কার ভাষায় বলে দিতে চাই আপনার ছেলে অথবা আপনার মেয়ে অথবারেহানা আপার ছেলে অথবা রেহানা আপার মেয়েকে দিয়ে হবে না। কেন হবে না আপনাকে বলি (এক) আপনার ছেলে মেয়ের রেহানাআপার ছেলে মেয়ের শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত সরাসরি প্রবাহিত হচ্ছে না। ওরা কেউ ওয়াজেদ মিয়া সাহেবের ছেলে মেয়ে কেউ বা শফিকসিদ্দিকী সাহেবের ছেলে মেয়ে। (দুই) এত কম বয়সে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আসলে আওয়ামীলীগ যে বিএনপির ভাগ্যবরন করবেনাতার গ্যারান্টি কে দিবে? (তিন) আপনার এবং রেহানা আপার ছেলে মেয়ে নেতৃত্বে আসলে ওরা আওয়ামীলীগ সামলাতে পারবেনা। কারনওদের বিদেশী স্ত্রী। ওরা ডার্লিং সামলাবে না আওয়ামীলীগ সামলাবে? বিষয়গুলো ভেবে দেখতে হবে। (চার) আপনার অথবা রেহানাআপার যে মেজাজ মর্জ্জি আপনাদের ছেলে মেয়ের মধ্যে সেটি থাকবেনা। আপনি অথবা রেহানা আপা যতটুকু শ্রদ্ধা রেখে মানুষের সাথেকথা বলবেন তারা না বলতে পারে। সেটি আপনার শুধু না, আমি আমার ছেলেকে দেখেছি। সেদিন আমার ছেলে তার মামাত ভাইকেবলছে হেই ম্যান তুই কিন্তু আমার ফাস্ট কাজিন না। তুই আমর মা পক্ষের আতœীয়, সে ইংরেজীতে বলছে। আমি জিজ্ঞাস করেছি তুইএসব কোথায় পেলে? বলে বাবা আমার স্কুলে অনেক কিছুই শিখিয়ে দেয়। আপনার অথবা রেহানা আপার ছেলে মেয়ে বিদেশে বড়হয়েছে, দেশের মানুষের যে কালচার দরজা ধরাষ করে খুলে ফেলবে, থুথু ফেলে দিবে উপরে। মাঝে মধ্যে আমি আমার স্ত্রী ছেলে মেয়েদেশে নিয়ে গেলে বিপদে পড়ে যাই। মানুষ আসে বেড রুমে বসে থাকে। একবার আমাদের সিলেটের বাসায় আমার আত্নীয় এসেছেআমার খোজে। আমি বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী আমাকে এসএমএস করেছে ওরা বেড রুমে বসে গল্প করছে। আমার অনেকটা হাসিপায়। আমার ভালো লাগে। কারন বেশী কথা বললে ওরা বলে আরে দুর তোমরা বেশী বৃটিশ কালচার ফলো করছো। যদিও এখনঅনেকটা সভ্য হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ তারপরও আরেকটু সময় লাগবে। আপনার ছেলে মেয়ে অথবা রেহানা আপার ছেলেমেয়েদেরকে নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হলে আরো / বছর সময় পার করতে হবে। ববি বাংলাদেশে আছেন। তিনি হয়তো বাংলাদেশেরকালচার বুঝেন কিন্তু বয়স একটা বড় ফ্যক্টর। দেখেন তারেক রহমান সাহেব কি করেছেন বিএনপিকে—— মুহুর্তে তারেক রহমানসাহেব যা বুঝেন বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কিন্তু তিনি এত বুঝে উঠতে পারেননি। মা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পাকি তিনি মাঠিতে রেখেছিলেন কখনো?

রেহানা আপাকে অনেকেই মনে করেন তিনি নেতৃত্ব দিতে পারবেননা, আমি যতটুকু দেখেছি রেহানা আপা পারবেন। আপনার সুযোগরয়েছে রেহানা আপাকে কয়েক বছর ট্রেনিং দিয়ে গড়ে তুলা। রেহানা আপার ট্রেনিংও লাগবেনা। যে মহিলা বৃটেনের হাউস অবপার্লমেন্টের সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকী জন্ম দিতে পারেন সে মহিলার আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেওয়া কোনো ব্যপার না।

লেখা লম্বা করতে চাইনা। করনার ব্যপারে আপনাদেরকে আর উপদেশ অনুরোধ করতে চাইনা। আপনারা যা ভালো মনে করেন তাইকরেন। আমি আমার আগের লেখায় উল্লেখ করেছিলাম দেশের সব কটি ক্লিনিক করনা রোগীদের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হোক। আপনিনির্দেশ দিলেই কাজ হবে। মানুষ মরবে। বৃটেন আমেরিকায় মানুষ মরছে, বাংলাদেশে আরো বেশী মরবে। আল্লাহ ছাড়া রক্ষা করার কেউনেই। আমি এখন বৃটেনেরও হাল ছেড়ে দিয়েছি। করনা রোগী যে হাসপাতালে যাচ্ছে সেআর ফিরছেনা। বাংলাদেশেও সমান হবে।বাংলাদেশে তো মানুষ কথাও শুনেনা। যেমন মানুষ তেমন গরুও। মানুষও হাটে রাস্তার মধ্য দিয়ে, গরুও হাটে। হর্ণ দিলে গরুও দেখেছিরাস্তার মধ্যেখানে দাড়িয়ে গাড়ীর দিকে রাগ করে তাকায়। যেমন মানুষ যেমন নেতা তেমন তার পশু পাখিও। দেখছেননা শিয়াল একটাযদি হুংকার দেয় সাথে সাথে সব গুলো দিতে থাকে। অথচ বৃটেনে এত সিটি ফক্স শহরে এত শিয়াল একটাও কিন্তু সন্ধার সময় ডাকেনা, রাতেও ডাকেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ভালো থাকুন। দেশকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন। দেশের একজন মানুষ যদি কম মরে সেচেষ্টা যদি আপনি করেন আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।

লন্ডন এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার।

লেখক:

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিবাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম

সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকচ্যানেল আই ইউরোপ

সাবেক সভাপতিইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব

ইমেইল: rafcbanglastatement@yahoo.com

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com