
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের এত সক্ষমতা থাকলে ইউরোপিয়ান, আমেরিকান ও জাপানিরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন কেন, সরকারের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন রেখেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে এই প্রশ্ন রাখেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিদেশি কূটনীতিকরা দলে দলে ঢাকা ছাড়ছেন। আমরা মনে করি, সরকারের নীতির কারণেই দেশের করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র ফুটে উঠছে না। ভেতরে ভেতরে সংক্রমণ হতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। আজকের পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। আর সরকারি হিসাবে মারা গেছে একজন।
তথ্য গোপন করে এই মহামারি এড়ানো যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সঠিক তথ্য দিয়ে এই রোগের ভয়াবহতা বুঝিয়েই জনগণকে কোয়ারেন্টিন মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ, সুরক্ষা ও প্রতিকারে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দিয়ে মানুষের আস্থা তৈরি করা উচিত।
গতকাল বুধবার করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে ফয়দা লোটার চেষ্টা করছে।
এর জবাবে রিজভী বলেন, এই মহাদুর্যোগে যখন মানুষ জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে, তখন ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য বিভাজন ও বিভেদেরই প্রতিফলন। কি কারণে যেন আপনারা সমালোচনার শঙ্কায় অস্থির থাকেন। করোনা প্রতিরোধ বা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যদি এতটাই সক্ষম হতো তাহলে ইউরোপিয়ান, আমেরিকান ও জাপানীরা দেশ ছেলে যাচ্ছেন কেন?
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে রোগের পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে দেশে পরীক্ষা নিয়ে নানা জটিলতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিংবা সরকারি পরিসংখ্যানের আপডেট এখন কেউ আর বিশ্বাস করছে না। অন্ধ হলেই কি বন্ধ হবে প্রলয়!, যোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, সরকারের তথ্য গোপন পলিসির সমালোচনা করার কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত কয়েকদিনে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিন।
এ সময় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নেই বলে জানান রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রধান বরাবর আবেদন করলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের আইজিপির নিকট অনুরোধ করছি।