ইউকে বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
হেডলাইন

আল্লাহ খোদা অবিশ্বাসকারী মুনতাসির মামুন, শাহরিয়ার কবীর, তসলিমা নাসরিন, লতিফ সিদ্দিকী, সুলতানা কামাল ওরা কোথায়? করনা ভাইরাস ঠেকাতে ওদের কোনো কেরামতী অথবা ফতোয়া কি কাজে লাগানো যায় না ????


◽️রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী◽️

করনা আসার পর থেকে আমি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি বাংলাদেশের স্বঘোষিত নাস্তীকরা বেশ নীরব ভূমিকা পালন করছে।কিন্তু কেন? নাস্তীকরা তো দেশে কয়েকদিন পর পর উল্টো পাল্টা বক্তব্য দিয়ে দেশকে গরম করে রাখে। মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতকরে। করনা আসার পর তসলিমা নাসরিন তার ফেইসবুকে একটা লেখা আপলোড করেছেন, সেখানে তিনি লিখেছেন করনা তাকেধরলে নির্ঘাত তিনি মরে যাবেন। কারন তার বয়স বেশী। রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এখন আর নেই, কমে গেছে। তিনি লিখেছেনতিনি রবীন্দ্র সংগীত শুনবেন। কেউ দেখতে যাবেনা। এক সময় তার মরদেহ দুর কোথাও পুড়িয়ে ফেলা হবে। দিল্লির এইমস আর নিউইয়র্কের ল্যংগনে যে মৃতদেহ দান করেছেন তাতে কোনো লাভ হবেনা। কারন ভাইরাসে কেউ মারা গেলে বাংলাদেশে যে মরনোত্তর দেহ দান অথবা চক্ষু দান সেটা কতৃপক্ষ গ্রহন করে না। তসলিমা আরো লিখেছেন পৃথিবীটা কেমন জানি বদলে গেছে। এই পৃথিবী তিনি আর চেনেন না।

প্রিয় পাঠক তসলিমা নাসরিন ৮০ দশকে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন । তসলিমা নাসরিনকে আমি প্রথম আবিস্কার করি আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে। আমার ঐ বন্ধু পত্র মিতালী করতো। তৎকালীন সময়ে স্মৃতি যদি আমার সাথে প্রতারনা না করে তাহলে বিচিত্রা নামক একখানা সাপ্তাহিক ম্যগাজিন ছিল। সেখানে বেশ কিছু উঠতি বয়সী যুবক যুবতী ব্যাক্তিগত বিজ্ঞাপনে লেখা লেখি করতেন। আমার যতটুকু মনে পড়ে তসলিমা নাসরিন লিখতেন “ফুলের ডালি সাজিয়ে রেখেছি কে দিবে গোলাপ আমায়“ লিখুন উত্তরেরনিশ্চয়তা ১০০ পার্সেন্ট। ঠিকানা ছিল এ রকম তসলিমা নাসরিন অবকাশ ময়মনসিংহ। সেটি অনেক আগের কথা। আমি জানিনা সেটি তসলিমা লিখতেন কি-না? তবে কবি রুদ্র মোহাম্মাদ শহীদুল্লার সাথে তিনি প্রেম করতেন এবং পরবর্তীতে কবি রুদ্রকে বিয়ে করেছিলেন। তসলিমা কবিতা লিখতেন, এবং আমার যতটুকু মনে পড়ে আমার এক কবি বন্ধুর মাধ্যমে তার একটি সাহিত্য পত্রিকা “সেঝুতি“ পড়ার ভাগ্য আমার হয়েছিল। আমার ঐ কবি বন্ধু তসলিমা নাসরিনের ভক্ত ছিলেন। তসলিমার বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থ আমি দেখেছিলাম আমার ঐ কবি বন্ধুর কাছে। শিকড়ে বিপুল ক্ষুদা, নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে, আমার কিছু যায় আসেনা ইত্যাদি আমার ঐ বন্ধুর কাছ থেকে এনে পড়েছিলাম। তারপর তসলিমার বই ক লজ্জা আমার মেয়ে বেলা এসব পড়তে চেয়েও পড়তে পারিনি, সে সব বইয়ে তিনি কার সাথে প্রেম করলেন, কার সাথে—- গেলেন, কে তাকে কিভাবে অফার করলো, নামী দামী লেখক কবি সাংবাদিকরা তাকে কিভাবে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করলো এসব বিষয়ই প্রাধান্য পেত বেশী। আমি সে সব আলোচনায় যেতে চাইনা, কারন একজন লেখক কবি কি লিখবেন সেটি তার একান্ত ব্যাক্তিগত এবং ভাবনার বিষয়। তবে আপত্তি তখনই বেধেছিল যখন তিনি কুরআনে সমালোচনা এবং সংশোধনের কথা বলেছিলেন। বাংলাদেশের ধর্মপ্রান মুসলমান তেলে বেগুনে জলে উঠেন এবং তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেয়। সেই থেকেই তসলিমাকে নাস্তিক আখ্যা দিয়েছিল বাংলাদেশের ধর্মপ্রান মুসলমানরা। তবে নাস্তিক যারা এপৃথিবীতে তারা কিন্তু কোনো ধর্মই মানেনা। বাংলাদেশের নাস্তিক যারা তারা শুধু ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে কথা বলে। বাংলাদেশের নাস্তিকদের কোনো চরিত্র আমি আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি। আমি একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাস্তিক কিন্তু আল্লাহ রাসুল এবং কুরআনের অবমাননা করে কথা বলেছে। তারা অন্য কোনো ধর্মকে কটাক্ষ করে কথা বলেনা। এটা কেন? সালমানরুশদীও স্যটানিক ভার্সেস লিখে বিখ্যাত হয়েছেন। অথচ হিন্দু বৌদ্ধ, খৃষ্টান ইহুদী এ সব ধর্ম নিয়ে কোনো নাস্তিক কথা বলেনা। আমি বৌদ্ধ ধর্মের গৌতম বৌদ্ধের ছবি দেখেছি তিনি নীচে বসে থাকেন। ছোট বেলায় আমি ভাবতাম বৌদ্ধ ধর্ম বোধহয় শুধু বসে থাকা, এবং ধ্যান করা। অথবা ব্যয়াম করা। সে যাক তসলিমার প্রথম স্বামী কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদ উল্লার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল ঢাকার কোনো এক জায়গায়। সেখানে কবি রুদ্র যা বলেছিলেন সেটি এখানে লিখতে চাইনা, লিখে তসলিমাকে বিব্রত করতে চাইনা। বিষয়গুলো একান্তই ব্যাক্তিগত। আমি আজো বুঝিনা কেন তসলিমা ইসলাম ধর্ম কুরআন সম্পর্কে আজে বাজে কথা বলেন? তিনি যদি আসলেও নাস্তিক হন তাহলে তো তিনি সব ধর্মের ব্যপারে কথা বলবেন। শুধু তসলিমা নাসরিন না, আমাদের যৌবনের সময়ে আরো ছিলেন আহমদ শরিফ, কবি শামসুর রাহমান, আরজ আলী মাতুব্বর, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, হুমায়ুন আজাদ, মুনতাসির মামুন, শাহরিয়ার কবীর, সুলতানা কামালসহ নাম না জানা আরো অনেকেই। ওরা একেক সময় একেক রকম বাজে মন্তব্য করে বাংলাদেশে আলোচিত সমালোচিত হয়েছিল। আহমদ শরীফ সাহেবকে অনেকেই হয়তো ভূলে গেছে। আহমদ শরীফ বলেছিলেন “পুরুষদের যদি সততা দরকারনা হয় তবে নারীদের সতিত্বের কি দরকার? নারীরা যেমন খুশী তেমনিভাবে যৌনাঙ্গ বিলাতে পারবে“। অবশ্য এছাড়া তিনি ধর্ম নিয়ে কথা বলেন নি। আরজ আলী মাতব্বর কি করে নাস্তিক হয়েছিলেন আমার মাথায় আসেনা। পড়ালেখা জানা নেই। ইসলাম ধর্ম সর্ম্পকে তার জ্ঞান ছিল আমার মত। কবি শামসুর রাহমান সাহেব আজানের ধ্বনীকে———। এ কথাটি কোনো মুসলমান মুখে নিতে পারবেনা। হুমায়ুন আজাদ সাহেব সারা জীবনই বিতর্কীত লেখা লিখেছেন এবং নিজেকে তিনি জ্ঞানী মানুষ ভাবতেন। তার থেকে জ্ঞানী মানুষও যে এ পৃথিবীতে পড়ে  আছেন সেটা তিনি বুঝতেন কি-না আমি জানিনা। তার ঐতিহাসিক কথাবার্তার মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদেরকে চুইনগামের মত চিবোতে ইচ্ছে করে। অধ্যাপক মনতাসির মামুন বলেছিলেন বঙ্গভবনের দেয়ালে কুরআন শরীফের আয়াত লেখা থাকবে এটা একটি চরম ভন্ডামী —সভা সমাবেশে বিসমিল্লাহ অথবা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান স্বরুপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিসমিল্লাহ থাকবে সে জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনিমৌলবাদীদের সব কাজ কাম ভন্ডামী। শাহরিয়ার কবীর বলেছিলেন সরকারী টাকায় মসজিদ মাদ্রাসা হতে পারেনা। ৭১ এ যুদ্ধ করেছি কিস্বাধীন বাংলাদেশে রাষ্ট ধর্ম রাখার জন্য? এ জন্য যদি রাষ্ট ধর্ম থাকে তাহলে পাকিস্তান ভেঙ্গে দেয়ার কি দরকার ছিল? শাহরিয়ার কবীর বাংলাদেশের রাষ্টধর্ম ইসলামকে সংবিধান থেকে তুলে দেয়ার কাজ করছেন তার সাথে কাজ করছেন সুলতানা কামালও। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এক সময় মন্ত্রী ছিলেন তিনিও বাজে মন্তব্য করেছিলেন। “টাকা ইনকামের জন্য আব্দুল্লার পুত্র মোহাম্মদ হজ্বের প্রবর্তন করেছিল, সভা সমাবেশের শুরুতে কোরান তেলাওয়াত বন্ধ করা দরকার।

প্রিয় পাঠক বাংলাদেশে এমন কোনো নাস্তিক আমি পাইনি যারা ইসলাম ধর্ম ছাড়া আর কোনো ধর্মকে কটাক্ষ করে কথা বলেছে। হিন্দু ধর্মটা অনেকেই পড়েছেন? আমি নিজেও পড়েছি। সেখানে কি লিখা আছে? বলবো? বলতে চাইনা। আমি অন্য কোনো ধর্মকে কটাক্ষ করতে চাইনা। যার ধর্ম তার কাছে রাষ্টের বা সমাজের কি করার আছে? কিন্তু শাহরিয়ার কবীর স্যার, মুনতাসির মামুন স্যার, সুলতানা কামাল ম্যডাম অহেতুক ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। সালমান রুশদী বৃটেনে বসবাস করেন তিনি কি পারবেন খৃষ্টানিটির বিরুদ্ধে একটি কথা বলতে বা লিখতে? চামড়া থাকবেনা। তসলিমা নাসরিন তো ইন্ডিয়ায় বসবাস করেন, লিখুন হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে পারবেন? মাইরা পেট ফুলিয়ে দিবে। এসব কুশিক্ষায় শিক্ষিত আদম সন্তানরা সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য লিখে ফেললেন কুরআনের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে। মোল্লাদের থাকে পেট ও গরম মাথাও গরম। ডাক দেয় আন্দোলনের। মাথার মুল্য নির্ধারন করে দেয় ৫০ হাজার টাকা। আর যায় কোথায়? পশ্চিমা মিডিয়া ধরে ফেলে। তিনি বিখ্যাত হয়ে যান। অনেক বছর আগের কথা বাংলাদেশের এক মহিলা ছিলেন নাম খুব সম্ভবত মুশতারি শফি। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেত্রী ছিলেন তিনি। লন্ডনে এসেছিলেন। পূর্ব লন্ডনের ডেভেনান্ট সেন্টারে যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটি তাকে সর্ম্বধনা দিয়েছিল। তিনি বক্তৃতা করেছিলেন। বলেছিলেন ঢাকা শহরে যত মসজিদ রয়েছে ইউরোপের কোথাও তিনি এত চার্চ্চ দেখেননি। আমি ছিলাম সেই মিটিংএ। হাত তুলেছিলাম। গাফফার ভাই, আব্দুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন ষ্টেইজে বসা। আনসার আহমদ উল্লাহ ছিলেন সভাপতি। কানের কাছে গিয়ে গাফফার ভাই বলেছিলেন ফ্লোর দিবানা। আনসার আহমদ উল্লাহ বন্ধু মানুষ দিয়েছিলেন ফ্লোর। হাত তুলে বলেছিলাম আপনি আসুন এই লন্ডনে প্রতি দুই শত গজ পর পর আপনাকে চার্চ্চ দেখিয়ে দেব। ভদ্র মহিলা বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে নেমে পড়েছিলেন, তারপর বলেছিলেন এই ছেলে তুমি কি করো, আমার একখানা বই তোমাকে উপহার দিতে চাই। জানো আমি ৬০ খানা বই লিখেছি। মনে মনে বলেছিলাম সব ভুল লিখেছ।

প্রিয় পাঠক লন্ডনে চ্যানেল এস এর রিয়ালিটি উয়িথ মাহি একটি জনপ্রিয় টক শো। এক সময় আমি খুব বেশী গেষ্ট হয়ে কথা বলেছি।এখন আর যাইনা। বিভিন্ন কারনে। তো একবার রিয়ালিটি উয়িথ মাহিতে টক শোর উপস্থাপক বন্ধুবর মাহি ফেরদাউস জলিল আমাকেপ্রশ্ন করে বসলেন ডিভোর্সী মহিলাদের আপনি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখেন? সেই প্রোগ্ররামটি ছিল বৃটেনে বাঙালীদের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ানিয়ে। তো আমি উত্তরে বলেছিলাম ডিভোর্সী উমেন ডিজিজ টু দ্য সোসাইটি। সে দিন বেশ কিছু মতামত পক্ষে বিপক্ষে এসেছিল।আরেকজন গেষ্ট ছিলেন সেই প্রগ্রামে লন্ডনের বাঙালী কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ লেবার পার্টির সাবেক কাউন্সিলর ব্যরিষ্টারজোসনা মিয়া, জোসনা মিয়া সেদিন আমাকে অনেকটা সমর্থন করেছিলেন। ব্যারিষ্টার জোছনা মিয়ারা যখন লন্ডনের টাওয়ার হ্যমলেটসে রাজনীতি করতেন তখন পরিবেশ ছিল অন্যরকম। এখন তো——– ভরে গেছে এই বাঙালী কমিউনিটি।

সে যাক বছর তিনেক আগের কথা ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের বাংলা কাগজ কমিউনিটি এওয়ার্ড অনুষ্টিত হয়েছিল প্যারিসে। আমরা বেশকজন লন্ডনের কিংক্রস ষ্টেশন থেকে রওয়ানা হয়েছি ইউরো ষ্টারে প্যারিসে যাবো। আমার পাশে বসেছিলেন একজন শিল্পি তিনি ছিলেনহিন্দু ধর্মের। আমি জোক করে বলেছিলাম তোমাদের জন্য আমার খুবই কষ্ট হয় দুঃখ হয়, শিল্পি আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন? বলেছিলাম তোমরা মারা যাওয়ার পর তোমাদেরকে আগুনে পুড়ানো হয়, পরেও তোমরা আগুনে জলবে। মনটা তার খারাপ হয়েগিয়েছিল। আমি বুঝতে পারি তার মন খারাপ হয়েছে। জিজ্ঞাস করি তুমি কি কষ্ট পেয়েছ? সে কোনো কিছু না বললেও আমি বুঝতে পেরেতার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম, বলেছিলাম আমি সরি, তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কথাগুলো বলিনি জাস্ট জোক করেছি। সে খুশী হয়ে বলেছিল ফয়সল ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। এবং সে আমাকে উপদেশ দিয়েছিল কারো ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা ঠিক না। আমার কাছে যেটিমনে হয়েছে এই মুনতাসির মামুন স্যার, শাহরিয়ার কবীর স্যার, আহমদ শরীফ, শামসুর রাহমান, লতিফ সিদ্দিকী স্যার যারাই ইসলামধর্মের ব্যপারে কটাক্ষ করে কথা বলেছেন কুরআনের সমালোচনা করেছেন, না বুঝে। তারা কি এচিভ করেছেন? তারা আমার দৃষ্টিতেডিজিজ টু দ্য সোসাইটি। ওরা নিজের পান্ডিত্য জাহির করার অপচেষ্টা করেছে। বিনিময়ে ধর্মপ্রান মুসলমানরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। একসময় তারা দেশ ত্যাগ করেছে ঠিকই কিন্তু বিদেশে গিযে তারা দেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কথা বলেছে।

শেষ কথা: এসব ডিজিজরা এখন কোথায়? আমার জানতে খুবই ইচ্ছে করে ওরা তো ইসলাম ধর্ম কুরানের সমালোচনা করেছে। কুরানসংশোধনের কথা বলেছে। তারা বলে কুরানে অনেক কিছুই ভূল আছে। তারা বলে বঙ্গভবনে কুরানের আয়াত লেখা থাকবে তার জন্য সে মুক্তিযুদ্ধ করেনি। কত বড় যুদ্ধা। মনে হচ্ছে সে একাই মুক্তিযুদ্ধ করেছে আর কেউ করেনি। আমার কথা হচ্ছে তোমরা যখন এতই পন্ডিতএত কিছু বুঝে কুরানের ভূল ধরো আল্লাহ আছেন কি-না-সে প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসো, তাহলে এখন তোমাদের কোন বাপ আছে দেশেরএবং পৃথিবীর মানুষদেরকে করনা থেকে বাচানোর জন্য? এখন কেন তসলিমা নাসরিন লিখেন আমি যে পৃথিবীকে দেখছি সে পৃথিবী আমি চিনিনা! এখন কেন অনেকেই বলেন পৃথিবী কি সেই আগের মত ফিরে আসবে? তোমাদের এত শক্তি এত সামর্থ, এত মিসাইল এত রকেট, এত মানুষকে মারার ক্ষেপনাস্ত্র, সামান্য ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারোনা? এখন কেন বলো পৃথিবী বদলে গেছে, তোমরা সারাজীবনই তো সমাজ বদলের জন্য কাজ করেছ। তোমরা শ্লোগান দিয়েছ এ সমাজ ভাঙ্গতে হবে নতুন সমাজ গড়তে হবে। যে কেউ ইসলামেরকথা বললেই তোমরা তাকে মৌলবাাদী বলে আখ্য দিয়েছ। লন্ডনে আমাকে বলেছে রাজাকার, আমাকে বলেছে আমি নাকি বিএনপি করি, ফকিন্নির পোলারা। অনেকেই বলেন গোবরে নাকি পদ্মফুল ফুটে। আমি দেখেছি গোবরে গোবরই থাকে। মানুষের মাইন্ড সেটটি কেমনআমি বুঝিনা। মাঝে মধ্যে আমার ফেইসবুকে বিভিন্ন দোয়া দরুধ শিয়ার করতাম। তো একদিন একজন আমাকে বলেছিল আপনি কিমৌলবাদীদের দ্বারা প্রভাবান্নিত হচ্ছেন? সবচাইতে মজার ঘটনা আমার সাথে ঘটেছিল বছর পাচেক আগে। আমি একদিন বাসায় আসরের নামাজ পড়ছি তো লন্ডনের এক কমিউনিটি নেতা আমাকে ফোন করেছেন, আমার ভাগনি থাকতো আমাদের বাসায়। সে ফোনরিসিভ করে বলেছে মামা নামাজে। যিনি ফোন করেছিলেন তিনি বললেন রং নাম্বারে কি ফোন করেছি। ভাগনি বলেছিল না। পরে তিনিআবার ফোন করেছিলেন আমি ধরেছিলাম, তিনি আমাকে জিজ্ঞাস করেছিলেন আপনি কি নামাজ পড়েন? বলেছিলাম পড়ি পাচ ওয়াক্ত পড়ার চেষ্টা করি। তিনি বলেছিলেন টেলিভিশন চালাও সারাক্ষন মহিলাদের সাথে আড্ডা দাও। বলেছিলাম সবই করি নামাজ ও পড়ি, আপনি ও পড়ুন। আমি একদিন আমার বাবাকে জিজ্ঞাস করেছিলাম বাবা একটা লোক নামাজ পড়ে, আবার মিথ্যা কথা বলে, আবাররাষ্টের টাকা চুরি করে, বাবা বলেছিলেন তার কাজ তাকে করতে দাও। তুমি তোমার কাজ করো। সে নামাজের পুরস্কারও পাবে। চুরি মিথ্যা কথার ফলাফলও পাবে। বাংলাদেশের যারা মহাপন্ডিত যাদের নাম আমি উল্লেখ করেছি তারা দেশে সব সময়ই একটা অশান্তি সৃষ্টি করে রাখতো। বিশ্ব নেতারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে রেখেছে। কি দরকার ছিল ইরাককে ধ্বংস করার? কি দরকার ছিল সিরিয়াকে ধ্বংশ করার? কি দরকার ছিল চীনে মুসলমানদের উপর অত্যাচার করার? কি দরকার ছিল ভারতের মুসলমান কাস্মীরের মুসলমানদের উপরঅত্যাচার করার? কি দরকার ইয়ামেনে সৌদী আরবের রকেট হামলার? এ করনার মধ্যেও থামছেনা ইয়ামেনে সৌদীর হামলা। কি দরকার ছিল লিবিয়াকে ধ্বংস করার? কি দরকার মানুষের ধর্মীয় মুল্যবোধে আঘাত করার? কি দরকার ছিল এই সো-কল ইন্ট্যলেকচুয়িলগিরি দেখানোর? কি দরকার ছিল আল্লাহ খোদা নেই বলে আল্লাহকে বিগড়ানোর? এখন ঠেলা সামলা। পারবেন তসলিমা নাসরিন ম্যডামমুনতাসির মামুন স্যার, শাহরিয়ার কবীর স্যার সুলতানা কামাল ম্যডাম, লতিফ সিদ্দিকী স্যার সহ যারা আল্লাহ কে বিগড়ে দিয়েছেনএখন টান্ডা করতে। তোমারা কিসের আগের পৃথিবী ফেরত চাও? আজকের পৃথিবীর এ দুর্দশা তোমাদের কুশিক্ষার কারনে। একটাপিপড়ার প্রাণ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেনা এ পৃথিবীর মানুষ। রোবট সুফিয়া-কে নিয়ে ফাজলামী করে আইসিটি মন্ত্রী পলক স্যার। তোমাদেরফাজলামীর কারনে নীরিহ মানুষগুলো আজ প্রাণ দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন আল্লাহর কাছে হে আল্লাহ যারা তোমার দিন দুনিয়াকে নিয়ে যারা তোমার কুরআন নিয়ে নামাজ নিয়ে ইসলাম নিয়ে হজ্ব নিয়ে, সমালোচনা করেছে শাস্তি তো তাদের পাওয়ার কথা। নিরীহ মানুষগুলো কেন শাস্তি পাবে?

একটি গল্প বলে লিখা শেষ করতে চাই। মানুষ একজন ঘুমিয়েছিল বটগাছের নীচে, তো বটগাছ থেকে একটি বটের গোটা তার উপরপড়েছিল, সে বলেছিল আল্লার কি কোনো বুদ্ধি শুদ্ধি নেই? এত বড় বটগাছে এত ছোট একটা গোটা দিয়েছে । অথচ কত ছোট একটালাউ গাছ কত বড় বড় লাউ ধরে, আল্লার সৃষ্টির রহস্য কি? তসলিমা নাসরিনদের আল্লাহকে নিয়ে এ রকমই চিন্তা ভাবনা হয়তো ছিল।তসলিমা নাসরিন শাহরিয়ার কবীর মুনতাসির মামুন সুলতানা কামালরা তো শিয়াল পন্ডিত, তাদের বুদ্ধি এত বেশী যে মহান সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে, সৃষ্টির স্রষ্টাকে নিয়ে ফাজলামী মন্তব্য করে, ওয়ার্ল্ড লিডাররা ক্লাইমেট নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনা। দিনের পর দিন ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনের উপর অত্যাচার করে। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার কি আল্লাহ আর বরদাশত করতে পারেননি? এপৃথিবীকে কে রক্ষা করবে? এ পৃথিবীকে ফাজিলরা রক্ষা করতে পারবেনা। মুমিন মুসলমানদেকে রক্ষা করতে হবে। হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো মাবুদ।

লেখক:
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ

ইমেইল: rafcbanglastatement@yahoo.com

০১/০৪/২০২০ বুধবার লন্ডন

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com