ইউকে রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

খ্যাতিমান ক্যালিগ্রাফি শিল্পী আরিফুর রহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভোরের পদ্য’

হোসনে আরা হেনা: খ্যাতিমান ক্যালিগ্রাফি শিল্পী Arifur Rahman এর প্রথম কাব্যগ্রন্থভোরের পদ্য

চার লাইনের অনেকটি পদ্যের সমাহারে প্রস্ফূটিতভোরের পদ্য‘– যা লেখা হয়েছে প্রতিটি ভোরের স্নিগ্ধ আলোয়।

ঘুম থেকে জেগে পদ্যের সুঘ্রাণে পাঠকহৃদয় আপ্লুত হয়েছে সৃষ্টিকর্তার প্রতি অবাককরা সমর্পনে।

আহা! একেকটি পদ্য যেনো পাঠকের মনকে ধাবিত করে আলোকিত পথের সন্ধান লাভের দিকনির্দেশনায়।

সুরের পাখি গাইছে সুরে

ভোর হলো ভোর হলো

আর থেকো না ঘুমের ঘরে

দোর খোলো দোর খোলো…’

জীবনালোক সন্ধানী পাঠক দোর খুলে এসে দাঁড়িয়েছে সোনারোদের দীপ্ত সকালে।

লুকিয়ে আছে তাঁর মহিমা

ভোরের ভাঁজে ভাঁজে

তুমিই কেন বঞ্চিত হও

থেকে ঘুমের মাঝে!’

কবি পাঠককে নিয়ে গেছেন সৃষ্টিকর্তার অপরূপ রহস্যের আরাধনায়প্রভুর প্রতি সমর্পিত হওয়ার এক অন্যরকম আত্মপলোদ্ধিমানসিক প্রশান্তিময় জগত।

অলৌকিক এক আলো এবং

শুদ্ধ হাওয়া সাথে

কী অপরূপ ভোরের সৃজন

আমার প্রভুর হাতে!’

কবি বেঘোর মানুষকে ফুলের ঘায়ে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন, সৃষ্টিকর্তার বন্দনায় সামিল হতে।

তোমরা যতোই দাও না কেন

দুই কানে দুই তালা

মিনার থেকে আসবে ভেসেই

হাইয়্যা আলাস সালাহ

ঘুমের ঘোরে অচেতন মানুষ জেগে উঠে দেখেছে….

দুর্বাঘাসে ভোরের শিশির

তসবিদানা হয়ে

রবকে আমার ডাকছে বুঝি

আশা এবং ভয়ে

কবি আরও নির্ভরতার গান কন্ঠে ধরেছেন

মেঘ দেখে ভয় পাও না যখন

সূর্য হাসে আড়ালে

রাতের কালোয় ভয় কি আমার

ভোরটা পাশে দাঁড়ালে।

পাঠকবৃন্দ মেঘ সরিয়ে দিয়ে ভোরের অমল আলোয় নির্মল হাসি হেসেছে।

ভোরের পদ্যকাব্যগ্রন্থের প্রতিটি পদ্য সুলিখিত,সুখপাঠ্য। ছন্দের মাধুরীমায় সুললিত।

নীরবে নয়সরবে পাঠ করতে ইচ্ছে জাগে।

কবি পাঠকের হাতে তুলে দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাঁর অকুন্ঠ ভালোবাসার নিদর্শনসুবহে সাদেকের এক মুঠো অমল আলো।

আসুন, বইটি পড়ে আমরা সেই দ্যুতিতে আলোকিত হই !

ভোরের পাখি বন্ধু আরিফুর রহমানকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি বই পাঠককে উপহার দেওয়ার জন্য।

আঁধার ক্রমে মুখ লুকায় আর

ঘোমটা খোলে আলো

তোমার আলোয় দয়াময়

দূর করো সব কালো

দৃষ্টিনন্দন রঙের ছোঁয়ায় রঙীনভোরের পদ্যবইটির বহুল প্রচার কামনা করি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com