ইউকে সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

নোনা নিরন্তর

আমাদের ভাবনার দুটা রূপ। এক হচ্ছে মনস্তাত্বিক রূপ। আরেকটা লিখিত রূপ। সাধারণত নিজের মনে যে ভাবনা থাকে তা লিখে প্রকাশ করা যায়না। লিখতে হয় গুছিয়েগাছিয়ে। আমি ব্যতিক্রম করছি। মনের কথাগুলো লিখবার চেষ্টা করছি।

কি লিখবো? চোখে পানি আসছে কেনো? কিবোর্ডে লিখতে গেলে কেনো শব্দটা কিনো হয়ে যাচ্ছে। শব্দ বানান শব্ধ হয়ে যাচ্ছে। গুছগাছ শব্দ মনে পড়ছেনা। আমার সমস্যাটা কি? আহ। এইমাত্র মনে হচ্ছে মানুষের ব্রেইন ভাবনা ছাড়া থাকতে পারে। যেমন আমি আছি। মাথায় কিছুই আসছেনা। কিছুই আসছেনা কেনো এই ব্যাপারে চিন্তা হচ্ছে। অতএব এটাও ব্রেইনের এক্টিভিটি। আসলে আমাদের ব্রেইন কখনো থেমে থাকেনা। একটা নোংরা কথা মনে পড়ছে। আমি কি লিখবো? কথা ছিলো যা মাথায় আসছে তাই লিখবো। পারছিনা। কারণ এতো নোংরা কথা লিখবার সুযোগ ব্রেইন পারমিট করছেনা। এর অর্থ কি? এর অর্থ আমি আমার কাজ ঠিকমতো করতে পারছিনা। আচ্ছা আমি কি চাচ্ছি? আমার ভাবনার প্রয়োজন। যারা গবেষণা করেন তারা কি বুদ্ধিজীবী? নাকি যারা কবিতা লিখে তারা বুদ্ধিজীবী? সকালে এরকম পোস্ট দেখলাম দেখে মনে পড়ছে। খ্যাতনামা জীনবিজ্ঞানী ড, কি যেনো। নাম ভুলে গেছি। ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী হবেন। আমি কতোটুক লিখেছি? বেশি না। আমার কষ্ট হচ্ছেনা। বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে। ব্রেইন লিখবার দিক কনসেনট্রেটেড হয়ে গেছে। মন খারাপ লাগছেনা। মন ভালো করবার এটাও একটা উপায় হতে পারে। বুশরাকে মেইল করতে হবে। আচ্ছা এই মেয়েটাকে নিয়ে আমি এতো ভাবি কেনো? তামিমের কথা মনে পড়লো। বয়স তো মাত্র তেইশ। এখন না তো কখন? আমি এই কথা বিশ্বাস করিনা। বিয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ যে আমার নেই তা না। আছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে চট করে একটা জিনিস মাথায় খেলে গেলো। আমার মনে হয় ডিফেন্সিভ ধারণা। তবে বেশ যৌক্তিক। এখন পর্যন্ত খন্ডন করতে পারছিনা। খন্ডন করবার ইচ্ছেও নেই। আমি চাই এই ধারণা আমার মাথায় বদ্ধমূল হয়ে থাক। নতুন জিনিসের মতো নতুন ধারণা মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। আমাকেও রাখছে। কতো দিন রাখবে বলতে পারছিনা। আমি এই ধারণা নিয়েই থাকতে চাই। ফ্লাকচুয়েশন চাইনা। মাঝেমাঝে মন খারাপ হচ্ছে। কেনো যেনো মনে হচ্ছে মরে গেলে কেমন হয়? ইন্টারন্যাশনাল জিউ বইটা পড়ে ভালো লেগেছে। আচ্ছা ইহুদিদের গায়ের রঙে এমন আষ্টে আষ্টে ভাব থাকে কেনো? ওরা কি নোংরা থাকে? মাঝেমাঝে মনে হয় একটা। না থাক। এটা লিখা যাবেনা। লিখতে গিয়ে লজ্জা লাগছে। আমি ঠিকঠাক মনের ভাব লিখতে পারছিনা। আমার উচিত যা মাথায় আসছে তাই লিখা। আমি এটা ভেবেই লেখা শুরু করেছি। আচ্ছা আমার এতো সমস্যা কেনো? আমার কি খুব বুদ্ধি? আচ্ছা বুদ্ধি জিনিসটা কি? আমার ধারণা বুদ্ধির সঠিক সংজ্ঞা আমার জানা নেই। এর পেছনে কারণ বুদ্ধি ব্যাপারটা দারুণ বিচিত্র আর বিস্তৃত। মানুষ মাত্রই সম্ভাবনাময়। আর কি লিখবো? আমি কিছুই ভাবছিনা। পেট আর বুকের মধ্যকার ডায়াফ্রাম কেমন? ডান চোখে পানি আসছে। ঘুম ঘুম লাগছে। যেটা লিখবো বলে শুরু করেছি তা এখনো লিখিনি। লিখবো কিনা বুঝছিনা। কেনো যেনো মনে হয় আমি পরাধীন। আমাকে স্বাধীনভাবে ভাবতে বাঁধা দেয়া হয়। একটা লোক শুটকি বিক্রি করছে। থেকে থেকে চিৎকার দিয়ে উঠছে। আমি চমকে উঠছি। বারবার চমকাচ্ছি কেনো? আমার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে? আচ্ছা। যাকে কখনো নিজের কাছে পাবোনা তাকে নিয়ে ভাববার দরকার নেই। তাও ভাবি। কেনো ভাবি? পাঁচ মিনিট আগের আবেগটা নেই। যা লিখতে চাচ্ছি তা তাই লিখতে পারছিনা। আমার মনে হয়। পদ্ধতিটা ভালো। এভাবে মন ভালো হয়। কেনো যেনো মনে হচ্ছে লেখা থামিয়ে দিলে মন খারাপ হবে। আবেগ ভর করবে। তাই আমার উচিত লেখা চালিয়ে যাওয়া। এটা কি সম্ভব? অনন্ত জলিলের কথা মনে পড়লো কেনো? আমরা সবাই কি একই রকম? কেনো? আলাদা হয়ে বাস করা যায়না কেনো? বারবার লিখতে গিয়ে ভুল হচ্ছে। কেনো শব্দটা কিনো হচ্ছে। শব্দ বানানটা যধিও এবার শব্ধ হয়নি। তবে যদিও বানানটা যধিও হয়ে গিছে। এখন গেছে শব্দ গিছে হয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ