
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক: প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলের রাজপরিবারের সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে কানাডা এবং লন্ডনে সময় কাটানোর সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
রাজপরিবারে জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্সের সিদ্ধান্তে সম্মতি দেন রানী।
সান্ড্রিংহ্যাম স্টেটে প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস, ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম ও ডিউক অব সাসেক্সে প্রিন্স হ্যারিকে নিয়ে করা ওই বৈঠকের পর রানী এলিজাবেথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজপরিবার আমার নাতি (প্রিন্স হ্যারি) ও তার পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে।
রানী এলিজাবেথ বলেন, আমি এবং আমার পুরো পরিবার হ্যারি ও মেগানের নতুন পারিবারিক জীবনের বিষয়ে ইতিবাচক থাকব। তারপরও আমরা চাই তারা রাজপরিবারের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবেই থাকুক। তাদের স্বাধীন জীবনযাপনের ইচ্ছাকে আমরা শ্রদ্ধা করি।
হ্যারি ও মেগান তাদের পরবর্তী সময় যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় ভাগাভাগি করে কাটানোর যে ইচ্ছা পোষণ করেছেন সে বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন রানী। তবে রানী আশাপ্রকাশ করেন, তারা সবসময়ই তার পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েই থাকবে।
হ্যারি ও মেগান তাদের নতুন জীবনে যে রাজকোষের অর্থ নিতে চান না সে বিষয়টিও বিবৃতি উল্লেখ করেছেন রানী।
রানী বলেছেন, রাজপরিবারে এখনো অনেক বিষয় রয়েছে যা সমস্যা হয়ে ঝুলে আছে। সেগুলো নিয়ে এখনো অনেক কাজ করার বাকি। তারপরও তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাটি আমিই বলেছি।
গত সপ্তাহে হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান জানান, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে এবং নিজেদের সময় উত্তর আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ভাগ করার লক্ষ্যে রাজপরিবারের নিজেদের ভূমিকা সীমিত করতে চান।
তাদের ওই ঘোষণার পর গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় আলোচনা ও পরামর্শের পর ওই বৈঠক ডাকেন রানী।