
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সিলেটের সম্পর্ক চিরকাল অতি নিবিড়। যেন ‘আত্মার আত্মীয়’। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) কলকাতায় অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপী বিশ্ব সিলেট উত্সবের দ্বিতীয় দিনে ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সিলেট আগমনের শতবর্ষ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমনটাই বললেন আলোচকরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. বিশ্মদেব চৌধুরী (ঢাকা), ড. অমলেন্দু চক্রবর্তী (অসম), ড. সুমহান বন্দ্যোপাধ্যায় (কলকাতা), ড. জফির সেতু (সিলেট), দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ সফি প্রমুখ।
অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ ও সিলেট প্রসঙ্গে বিস্মদেব চৌধুরী বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ও সিলেট একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এই প্রজন্ম রবীন্দ্রনাথের প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত না হলে, উচ্ছ্বসিত না হলে এ ধরনের আলোচনা সভা করা সম্ভব হত না। এই উত্সব আগামী প্রজন্মের উত্তরসূরীদের প্রভাবিত করবে।’
অধ্যাপক জফির সেতু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সিলেটের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিশেষ সম্পর্ক। বাংলা ভাষা চর্চার আকাঙক্ষা এসেছে রবীন্দ্র চর্চা থেকে। তিনি বিশ্বের সর্বত্র বিরাজমান হলেও সিলেটের কথা তার কবিতায় বারে বারে পাওয়া গেছে। তাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা ও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তারপরও তিনি কখনো দমে যাননি।’
অধ্যাপক অমলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও লেখায় অদ্ভুতভাবে সিলেটের সংস্কৃতির ছাপ পাওয়া যায়। সুফি ও বৈষ্ণব ধর্মের নির্যাসের ছাপ পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতাও হৃদয় প্রধান। তাই রবীন্দ্রনাথ সিলেটের অহঙ্কার। তাকে ছাড়া সিলেটবাসী কিছু ভাবতে পরেনা।’
অধ্যাপক সুমহান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানবতার শ্রীভূমি রবীন্দ্রনাথ বিশ্ব মানবতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি সিলেটকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।
দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ সফি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আলাদা করে আলোচনার অপেক্ষা রাখে না। তিনি আমাদের জীবনে স্বপ্ন দেখার জায়গা দিয়েছেন। আমরা তাকে আপন বক্ষে ধারণ করেছি। তাকে হৃদয় থেকে বের করা অসম্ভব। তার দর্শন চিরকাল বাঙালির মনে বিদ্যমান থাকবে। বাঙালি ও বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে রবীন্দ্রনাথ ততদিন থাকবেন।’আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ। সঞ্চলনা করেন সাংবাদিক রক্তিম দাশ।