
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি উসকে দেবে এবং সংঘাত সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশিষ্টজনেরা। এ অবস্থায় থেমে নেই পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী-সাহিত্যিকরাও।
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে গিয়েছে। সেই বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রাধানাথ কোবিন্দ। আর এই বিল নিয়ে আগুন জ্বলছে আসাম, ত্রিপুরা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
এ বিলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শিক্ষাবিদ কৃষ্ণা বসু, সাহিত্যিক আবুল বাশার, অভিনেতা কৌশিক সেন প্রমুখ। এবার সেই বিলের প্রতিবাদে কলম ধরলেন শঙ্খ ঘোষ। প্রতিবাদই হয়ে ওঠে তাঁর কবিতার ভাষা। এই প্রথম নয়, এর আগেও নানান ঘটনার প্রতিবাদে কলম হাতে তুলে নিতে দেখা গিয়েছে কবিকে।
শঙ্খ ঘোষ লিখেছেন-
আমারই হাতের স্নেহে ফুটেছিল এই গন্ধরাজ
যে–কোনো ঘাসের গায়ে আমারই পায়ের স্মৃতি ছিল
আমারই তো পাশে পাশে জেগেছিল অজয়ের জল
আবারও সে নেমে গেছে আমারই চোখের ছোঁয়া নিয়ে
কোণে পড়ে–থাকা ওই দালানে দুপুরে
ভাঙা থামে
আমারই নিঃশ্বাস থেকে কবুতর তুলেছিল স্বর
শালবন–পেরনো
এ খোলা মাঠে মহফিল শেষে
নিথর আমারই পাশে শুয়েছিল প্রতিপদে চাঁদ।
তোমাদের পায়ে পায়ে আমারও জড়ানো ছিল পা
তোমরা জানোনি তাকে, ফিরেও চাওনি তার দিকে
দুধারে তাকিয়ে দেখো,
ভেঙে আছে সবগুলি সাঁকো
কোনখানে যাব আর যদি আজ চলে যেতে বলো।
গোধূলিরঙিন মাচা, ও পাড়ায় উঠেছে আজান
এ–দাওয়ায় বসে ভাবি দুনিয়া আমার মেহমান।
এখনও পরীক্ষা চায় আগুনসমাজ
এ–মাটি আমারও মাটি সেকথা সবার সামনে কীভাবে প্রমাণ করব আজ।