
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্দা কেনার দুর্নীতির কাছে হেরে গেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বালিশ কেনার দুর্নীতি।’
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এক হাসপাতালে (ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ) ৩৭ লাখ টাকার পর্দা কেনার দুর্নীতি বালিশ কেনার দুর্নীতির কাছে হেরে গেছে। অর্থাৎ পর্দার কাছে হেরে গেছে বালিশ। এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা, চারদিকে শুধু লুট ও লুটেরা। এ অবস্থায় চলছে এখন দেশে।
আজকে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সাহেবরা থাকলে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুরে এভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতো না। ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক হতো না। সাইফুর রহমান সাহেব দেশপ্রেমিক ছিলেন, দেশকে ভালোবাসতেন। নিজের বা দলের লাভবান হওয়ার জন্য দেশের সার্থকে জলাঞ্জলি দেননি।
নির্মাণাধীন দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিনসিটিতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির তথ্য গত মে মাসে ফাঁস হয়।
এই প্রকল্পে একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয় ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এরমধ্যে এর দাম বাবদ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ ৭৬০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক দেয়ায় এগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে। পত্রিকায় দেখলাম, হল-মার্ককে আবার সুযোগ দেয়া হবে। অর্থাৎ লুটেরা অর্থনীতিকে আবার লুটেরাদের মধ্যে নিয়ে আসা। এটাই হচ্ছে তাদের চরিত্র। সব লুট করছে চারদিকে। এমনভাবে লুট করছে যে, এই দেশকে একটি ফোকলা অর্থনীতিতে পরিণত করছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখেছে শুধু একটি কারণে। উনি যদি বাইরে থাকেন তাহলে লুটপাট চলবে না। মানুষের অধিকারকে বিনষ্ট করা যাবে না। উনি ঠিকই সব মানুষকে নিয়ে প্রতিহত করতেন। দেশের মানুষ অবশ্যই দেশনেত্রীকে বের করে আনবেন, গণতন্ত্রকে মুক্ত এবং তাদের (আওয়ামী লীগ) প্রতিহত করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক প্রমুখ।