
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক: স্থানীয় উৎপাদনের পাশাপাশি নিজ চাহিদা মেটাতে বিপুল পরিমাণ টাটকা শাকসবজি, ফলমূল এবং মাছ-মাংস আমদানি করে যুক্তরাজ্য। কিন্তু, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে এসব পচনশীল আমদানি পণ্য গুদাম বা লরিতে কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ পরে থাকতে পারে। এমন অবস্থা তৈরি হলে দেশটিতে এসব খাবারের একটি স্বল্প-মেয়াদি সরবরাহ সংকট তৈরি হবে। গতকাল বুধবার ব্রিটিশ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লবি এই বিষয়ে সতর্ক করে। খবর রয়টার্স এর।
টেস্কো সহ খাদ্যপণ্যের অন্যান্য খুচরা বিক্রেতারা জানায়, ৩১ অক্টোবর চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করলে তাজা খাবার সরবরাহে এক বিশাল সমস্যা তৈরি হবে। কারণ, এসব পণ্য আমদানি করা হয় বিপুল পরিমাণে।
খাদ্যদ্রব্যের খুচরা বিক্রির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সাড়ে ৪ লাখ মানুষ জড়িত। এইখাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো তাই চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রভাবকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের হিসেব অনুসারে, ২০১৩ সালে ঘোড়ার মাংস কেলেঙ্কারি এবং ১৯৮০ এবং ৯০ দশকের ম্যাড কাউ ডিযিযের চাইতে ব্রেক্সিট বড় ধরনের সরবরাহ সংকট তৈরি করতে চলেছে।