ইউকে সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

যুক্তরাজ্যের শেষ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন !

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শুরু থেকেই বলছেন তিনি তার দেশকে ভালোবাসেন। তিনি ভালোবাসেন ৪টি দেশ ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের দ্বারা গঠিত ইউনিয়ন যুক্তরাজ্যকে। তবে তার এই ভালোবাসা মূল্যহীন হয়ে পড়তে পারে। সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেই বরিস এই ৪ দেশ সফর করেছেন। দেশগুলোতে গিয়ে পড়েছেন প্রবল প্রতিরোধের মুখে। ব্রেক্সিট নিয়ে জনসনের ‘ডু অর ডাই’ আচরণ এই দেশগুলোর নাগরিকদের প্রচ- সংক্ষুব্ধ করেছে। তারা বলছেন জনসন যুক্তরাজ্য নয়, ইংল্যান্ডের স্বার্থ সমুন্নত করতে অধিকতর আগ্রহী। পরিস্থিতি এরকম থাকলে যুক্তরাজ্যের ভেঙে যাওয়া বিস্ময়কর হবে না। হয়তোবা বরিসই ঐক্যবদ্ধ যুক্তরাজ্যের শেষ প্রধানমন্ত্রী! সিএনএন
৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিটের শেষ সময়সীমা। বরিস জনসন বলে রেখেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক, এই সময়ের মধ্যেই ব্রেক্সিট হবে। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে তার মোটেও আপত্তি নেই। কার্যত ক্ষমতায় এসেই এই বিষয়ক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন জনসন। স্কটল্যান্ডে গিয়ে জনসন ইউরোপপন্থী এবং স্বাধীনতার সমর্থকদের তীব্র রোষের মুখে পড়েছেন। দেশটির ফার্স্ট মিনিস্টার এবং স্বাধীনতাপন্থী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা নিকোলিয়া স্টারজেন বলেছেন, নিজের সফরের সময় স্কটিশ জনগনকে সামনাসামনি মোকাবেলার সৎসাহস বরিস জনসনের ছিলো না। ওয়েলসয়েও কোনো ইতিবাচক অবস্থায় পরেনি জনসন।
সেখানেও ওয়েলশিয়ান কৃষকরা জনসনের বিরুদে।ধ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাদের অভিযোগ, কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই জনসন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের কথা বলছেন। যা কৃষকদের স্বার্থ ভীষণভাবে বিঘিœত করছে। ওয়েলস এর ফাস্ট মিনিস্টার মার্ক ডার্কফিল্ড বলছেন, তাদের সন্তুষ্ট করতে ব্যার্থ হয়েছেন জনসন। ওয়েলস এর জনগন বলছেন এরকম চলতে থাকলে তাদের আর যুক্তরাজ্যকে প্রয়োজন নেই।
চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পরার কথা উত্তর আয়ারল্যান্ডের। রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ‘হার্ড বর্ডার’ হওয়ার সম্ভাবনায় আতঙ্কে রয়েছে দেশটির জনগন। ফলশ্রুতিতে সেকটেরিয়ান সংঘাত আইরিশ বিপ্লবিদের সেই ভয়ানক দিনগুলো ফিরে আসার সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অভ্যর্থনা পাননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বরং দেশটির নাগরিকদের প্রতিবাদের ভাষা ছিলো অনেক বেশি রূঢ়। তারা বলছেন, বরিস জনসন কোনোভাবেই ব্রিটিশ জনগনের প্রতিনিধিত্ব কারা যোগ্যতা রাখেন না। তিনি ইংল্যান্ডের প্রতিনীধি। আর ব্রিটিশ শব্দটা আর কাগুজে ছাড়া কিছুই নয়। এর চেয়ে বরং স্বাধীনতাই হতে পারে চুড়ান্ত সমাধান। তাদের আর প্রয়োজন নেই ইংলিশ উপনিবেশের। একথা বলাই শ্রেয়, ব্রেক্সিট দেয়ার চেয়ে বরিসের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ যুক্তরাজ্যকে টিকিয়ে রাখা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ