
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে সংঘবদ্ধ একটি চক্রের ৮ জন সদস্যকে সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো যে তারা প্রায় ৪০০ ব্যক্তিকে দাসত্বে বাধ্য করেছে। বলা হচ্ছে আধুনিক যুগে এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় ধরনের দাসত্বের ঘটনা। বিবিসি বাংলা ৭:৩০
সংঘবদ্ধ এই চক্রটি মূলত পোল্যান্ড থেকে আসা ব্যক্তিদের নানাভাবে ধোকা দিয়ে, কাজ ও ভালো জীবনের লোভ দেখিয়ে যুক্তরাজ্যের পশ্চিম মিডল্যান্ডে নিয়ে আসতো। কিন্তু তাদের দাসের মতো রাখা হতো। কখনো কখনো ১৪ ঘণ্টাও কাজ করানো হতো। অথচ পারিশ্রমিক দেয়া হতো না।
তাদেরকে যেসব ঘরে আটকে রাখা হতো সম্প্রতি প্রকাশ তার কিছু ছবিতে দেখা যায় ভয়াবহ পরিবেশে তাদের থাকতে দেয়া হতো। সাজা প্রাপ্তরা নিজেরাও পোল্যান্ডের বংশভূত। তাদের আলাদা দুটি মামলায় বিচার করা হয়েছে। তাদের মানব পাচার, জোর পূর্বক শ্রম ও অর্থপাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দোষী সাবস্থ হওয়ার পর তাদের তিন থেকে ১১ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে বন্ধি দশা থেকে দুইজন পালিয়ে যাওয়ার পর ওই চক্রের সদস্যদের কার্যক্রম প্রকাশিত হয়। চক্রটিতে ছিলো ৫জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। তাদের শিকার ছিলো পোল্যান্ডের ছিন্ন মূল মানুষ। সাবেক কারা বন্দি এবং নেশাগ্রস্থ ব্যক্তিরা।
শুরুতে বাসে করে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা হতো। এর পর মূলত আবর্জনা ব্যবহার বা রিসাইকেল করার প্রতিষ্ঠান খামারে কাজ করানো হতো। সেখান থেকে যে অর্থ দেয়ার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খুলানো হতো। কিন্তু সেই চক্রই ওই একাউন্টের নিয়ন্ত্রণে রাখতো।এবং নিজেরাই পারিশ্রমিকের অর্থগুলো ভাগাভাগি করে নিতো।
২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল এই চক্রের সদস্যরা ২০ লাখ পাউন্ডের মতো অর্থ কামিয়েছে। কেউ কাজ করতে না চাইলে ভয় ভীতি ও মারধর করা হতো। পোল্যান্ডে তাদের স্বজনদের ক্ষতি করার ভয় দেখানো হতো। বন্দি থাকা কালীন অনেকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।