
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : প্রথম সন্তান জন্মদানের সময় প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। তাই ঠিক করে রেখেছিলেন, পরবর্তীতে প্রসব বেদনা কিছুটা কম করতে লাফিং গ্যাস ব্যবহার করবেন তিনি। করলেনও তাই, এতে কাজও হলো। অনেকটা কম কষ্টেই দ্বিতীয় সন্তানকে পৃথিবীতে ভূমিষ্ট করলেন। কিন্তু পরে এই গ্যাসের বিল দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ!
বলছিলাম ব্রিটেনের এক সেবিকা কার্লি-রাই কার্সচেনেইডারের কথা। প্রসূতিদের বরাবরই তিনি বলে এসেছেন, নিজের সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ও লাফিং গ্যাস ব্যবহার করবেন তিনি। সে অনুসারে নিজের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় হাসপাতালে ভর্তির পর এই সেবা নেন ৩২ বছর বয়সী কার্লি।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কার্লি। তবে ওই সময় একটু বেশিই কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। সে কারণে পরের বার কষ্ট যেন কিছুটা কম পেতে হয়, সেই পথ খুঁজছিলেন। পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হাডসনের হাডসন হসপিটালে ভর্তি হন।
প্রসব যন্ত্রণা শুরুর ১১ ঘণ্টা পর তিনি স্বাভাবিকভাবেই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এই সময়ের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বার তাকে লাফিং গ্যাস দেওয়া হয়েছে। অবশ্য সেই গ্যাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ ছিল অক্সিজেন।
১৯ ডিসেম্বর ছেলে লেভিয়েথানকে কোলে নিয়ে কার্লি ও তার স্বামী ক্রিস্টোফার বেজাই খুশি। কার্লি ভাবতে থাকেন, এই পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়া অসাধারণ। এরপর নিজে সন্তান জন্ম দিতে চাইলে এই পদ্ধতিই ব্যবহার করবেন।
হাসপাতালে দু’দিন কাটানোর পর তাদের হাতে আসে হাসপাতালের বিলের কাগজ। তাতে দেখা যায়, মোট বিল এসেছে ১০ লাখ ছয় হাজার চারশ ৭৬ টাকা। যার মধ্যে কেবল লাফিং গ্যাস ব্যবহারের বিল এসেছে চার লাখ নয় হাজার তিনশ ৬২ টাকা।
হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, লাফিং গ্যাসের মেশিন তার কক্ষে রাখার ভাড়া হিসেবে ওই বিল এসেছে।
বিষয়টি জেনে তাজ্জব বনে গেছেন ওই দম্পতি। তারা জানান, এই বিলের টাকা দিয়ে লাফিং গ্যাস ব্যবহারের মেশিনটাই কিনে নেওয়া সম্ভব। আর মেশিনে নতুনভাবে গ্যাস ভরে নিতেও মাত্র চার হাজার টাকা লাগে।
-ডেইলি মেইল।