
অলিউল্লাহ নোমান: আগে শুনতাম ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে অংশ না নেয়া ভুল ছিল। এখন শুনলাম, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ব্যালটে সীলমারা নির্বাচনের ফলাফলে গঠিত সংসদে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল।
গত ৫ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের পর সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল।
প্রশ্ন হল- মাননীয় মহাসচিব, ধরে নিলাম আগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। যদি তাই হয়, সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ না নিয়ে আপনি সেই ভুলে রয়ে গেলেন কেন???
অবশ্য আপনি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেটা হল, দলীয় কর্মকান্ড এবং আন্দোলনে নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্যই আপনি শপথ নেন নাই। বেশ সুন্দর কথা। ইতিহাস আপনার শপথ না নেয়া এবং এমন ব্যাখ্যা ষ্মরণ রাখবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে-যদি এমন-ই হয়, আপনি দুই জায়গা থেকে নির্বাচনে দাড়ানো কি দরকার ছিল??
এই ভুল স্বীকারের মাধ্য আরো প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে এখন। ৩০ ডিসেম্বর রাতে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করার সিদ্ধান্তটাও কি সঠিক ছিল তাইলে? নাকি এই সিদ্ধান্তটাও ভুল ছিল! শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্তটা যদি ভুল হয়ে থাকে, ফলাফল বর্জনের সিদ্ধান্তটাও তো একই ধারা থেকে এসেছিল! এখন তো আপনারা এই সংসদে অংশ নিলেন! এ সংসদকে কি এখন আর অবৈধ বলা যাবে! আপনারা এখন এ সংসদকে কি বলে অবহিত করবেন! কারন, আপনি বললেন, সংসদের ভেতরে বাইরে আন্দোলন করার কথা।
এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর বলা হয়েছিল, শপথ নিলে সংসদকে বৈধতা দেয়া হয়। তাই সংসদকে বৈধতা না দিতে শপথ নেয়া থেকে বিরত থাকার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে!
শুধু তাই নয়, হালে অনেক বড় বড় নেতার মুখে শোনা যায়, ড.কামালের সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনও ভুল ছিল।
প্রশ্ন হচ্ছে, আপনাদের এসব ভুলের খেসারত জাতিকে আর কতদিন দিতে হবে! এই ভুল গুলোর দায় নেবে কেডায়!
আপনারা কি জানেন, এসব ভুলের খেসারত দিতে কত মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে! কত মানুষকে গুম করা হয়েছে! কত মানুষ জেলে আছেন। কত মানুষ বাড়িঘরে থাকতে পারছে না! এর হিসাব কি আছে আপনাদের কাছে।