ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় এক তালাকপ্রাপ্ত এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উলঙ্গ অবস্থায় স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটক করলেও পরে ওই অবস্থায়ই তিনি জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) গভীর রাতে জেলার নাঙ্গলকোটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত নুরুজ্জামান রাজু উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউপির মেরকট গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
জানা গেছে, নুরুজ্জামান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নাঙ্গলকোট উপজেলার তালাকপ্রাপ্ত এক সন্তানের জননীর সুমাইয়ার(ছদ্মনাম)ঘরে নুরুজ্জামান প্রবেশ করে এবং তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারীর চিৎকার শুনে তার ভগ্নিপতি ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে নুরুজ্জামান পার্শ্ববর্তী পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় এলাকাবাসী তাকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করে। পরে ওই গ্রামের জীবন কৃষ্ণের মাছের খামারে তাকে আটক করে তালা বন্ধ করে রাখা হয়। কিন্তু নুরুজ্জামান ঘরের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর থেকে নুরুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরাও ঘরের তালা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম গাজী বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় লম্পট নুরুজ্জামানকে আটক করে জীবন কৃষ্ণ বাবুর মাছের খামারের একটি ঘরে তালা বন্ধ করে রাখা হয়। পরে তার পরিবারকে খবর পাঠাতে গেলে এই সুযোগে নুরুজ্জামান জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে ওই নারীর বাবা জানান, থানায় মামলা করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
