
আরিফ রব্বানী : ব্রেক্সিট অচলাবস্থা কাটাতে শেষ মুহুর্তে জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেল এবং ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মঙ্গলবার তিনি মিউনিখ এবং প্যারিসের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করছেন। এই দুই স্থানে তিনি এই দুই প্রভাবশালী ইউরোপিয় নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। ব্রাসেলস এ শুরু হতে যাওয়া বিশেষ সম্মেলনের মাত্র একদিন আগে এই সিদ্ধান্ত এলো। হাফিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ান, দ্য টাইমস।
১০ এপ্রিলের সম্মেলনেই ইউরোপিয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন ব্রেক্সিটের সময়সীমা আর বর্ধন করা হবে কিনা। হলেও তা দীর্ঘ নাকি স্বল্প মেয়াদে হবে। থেরেসা চান ৩০ জুন পর্যন্ত ব্রেক্সিট পেছাতে। তবে ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক কমপক্ষে ১ বছরের জন্য ব্রেক্সিট পেছাতে চান। থেরেসা চান স্বল্প মেয়াদে ব্রেক্সিট পেছাতে মেরকেল আর ম্যাঁক্রোর সমর্থন। ধারণা করা হচ্ছে এ কারণেই তিনি একদিনে এই দুই দেশ সফর করছেন।
এদিকে, অর্ধেকের বেশি ব্রিটিশ মনে করেন, বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়েঢ উঠতে তাদের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব বড় বেশি প্রয়োজন। তারা মনে করেন নিয়ম ভাঙতে পারার মতো শক্তিশালী নেতাই তাদের বর্তশান সমস্যা দূর করতে পারবে। দেশটির বর্তমান সংসদিয় গণতন্ত্র নিয়ে চালানো এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য। জরিপটি বলছে দেশের অধিকাংশ মানুষ রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরণের পরিবর্তন চায়। তারা মনে করেন ব্রিটিশ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড় ধরণের পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সাবেক এক মন্ত্রী বলেছেন, ‘সফট ব্রেক্সিট’ স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পথকে সুগম করবে। সাবেক মন্ত্রী গুটো বব মনে করেন, ব্রেক্সিট আসলে যুক্তরাজ্যের ভাঙনের পথ খুলে দিয়েছে। তিনি বলেছেন স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামীরা আরো একটি গণভোটের দাবিতে সরব হচ্ছে। সফট ব্রেক্সিট হলে তাদের দাবি আরো জোড়ালো গবে। গত বছরের জুলাই মাসে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন বব। তিনি স্কটিশ টোরি এমএসপিদের (মেম্বার অব স্কটিশ পার্লামেন্ট) আরো একটি ব্রেক্সিট গণভোট আয়োজনের দাবিতে সরব হতে আহ্বান জানান।