
নিজস্ব প্রতিনিধি : হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন শঙ্কায় থাকা চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শয্যাপাশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৩ মার্চ রবিবার রাত পৌনে দশটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পৌঁছান বিএনপি নেতারা। এখানেই চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপি নেতা রাজু ও শায়রুল কবির খান। এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে হাসপাতালের দিকে রওনা দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, ওবায়দুল কাদের হাত-পা নাড়ছেন, প্রস্রাব হচ্ছে, যেটা দুপুরের দিকে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। তাই আপাতত তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে না।
তিনি জানান, সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যে ৪ সদস্যের দল এসেছে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন। তারাসহ এখানকার চিকিৎসকরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া যাবে না। কারণ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউর সুবিধা নেই। আর তার যে পরিস্থিতি সে অনুসারে আগের চেয়ে উন্নতি হলেও আইসিইউ সেবা ছাড়া পরিবহন করানো বা আইসিইউ ছাড়া রাখা যাবে না।অবস্থার আরও উন্নতি হলে তখন তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে পরিবহন করানো যাবে। এখন এখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে এনজিওগ্রাম শেষে ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানান চিকিৎসকরা। তার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া চেয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার।
https://www.facebook.com/babul.talukder.37/videos/10216027660597622/