প্রবাস ডেস্ক: ব্রিটেন থেকে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী বংশ্দোভুত শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করলো হোম অফিস।মঙ্গলবার শামীমার মা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছেন।
হোম সেক্রেটারীর পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে শামীমা বেগমকে এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপীল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।শামীমার পারিবারিক আইনজীবি তাসনিম আকঞ্জি তার টুইটারে লিখেছেন, হোম অফিসের সিদ্ধান্তে তার পরিবার খুবই মর্মাহত।এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে আইনী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
এর আগে গত রবিবার শামীমা বেগম একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন বলে তার পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন।১৯ বছরের শামীমার এটি তৃতীয় সন্তান।তার আগের দুটি সন্তানই অপুষ্টি এবং বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে।সিরিয়ায় গিয়ে এই তরুণী নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকা থেকে আরো দুজন বান্ধবী সহ শামীমা বেগম আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।গত সপ্তাহে লন্ডনের দৈনিক দি টাইমসের একজন সাংবাদিক সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামীমা বেগমের খোঁজ পান। তার বয়স এখন ১৯, এবং তিনি অন্ত:সত্বা ছিলেন।
ঐ সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করেন যে তার আগত শিশু সন্তানের কথা বিবেচনা করে তাকে যেন ব্রিটেনে ফেরত আসতে দেওয়া হয়। সেই থেকে, ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে যে, নিষিদ্ধ একটি জঙ্গি সংগঠনের যোগ দিতে যাওয়া এই তরুণীকে ফেরত আসতে দেওয়া উচিৎ কিনা।
যদিও বিবিসি এখনও দ্বিতীয় অন্য কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত হতে পারেনি যে শামীমা বেগম সত্যিই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কিনা বা তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন কিনা। গত রোববার মিজ বেগমের পরিবারের আইনজীবী মোহাম্মদ তাসনিম আখুঞ্জি জানান, তারা জানতে পেরেছেন শামীমা একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শিশুটি সুস্থ আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, আইএসে যোগ দিতে যাওয়া তরুণ-তরুণীরা যাতে না ফিরতে পারে তার চেষ্টা করে যাবেন তিনি। তবে শামীমা বেগমের পরিবার আবেদন করেছিল, শিশুটি তো নিরপরাধ, শিশুটির নিরাপত্তার জন্য মানবিক কারণে তাদের মেয়েকে ব্রিটেনে ফিরতে দেওয়া হোক।










